‘আগস্ট ঢুকলেই আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়’

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২২, ০৫:০৫ পিএম

চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ নেতা এম.আর আজিম বলেছেন, আগস্ট মাস ঢুকলেই আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। আমরা বিভিন্ন আতঙ্কে আতঙ্কিত থাকি। আবার কখন ওই শত্রু পক্ষ ছুবল মারছে, আবার কখন নাশকতা চালাচ্ছে। আবার কখন ব্রাশ ফায়ার করছে।

তিনি বলেন, আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী ফজিলাতুন্নেছা মুজিব প্রধান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে বাঙালির অধিকার আদায়ের আন্দোলনে  এবং বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গবন্ধু উপাধি পাওয়ার জন্য যিনি সহযোগিতা করেছিলেন, তিনি হলেন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। আজকে তার জন্মবার্ষিকীতে পঁচাত্তরের শহীদদের আমি হৃদয়ের গভীর থেকে শ্রদ্ধা করছি।

সোমবার (৮ আগস্ট) দুপুরে নগরীর হামজারবাগ এলাকায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভাও কর্মজীবী নারিদে মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠান সভাপতির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এমআর আজিম বলেন, আজকের দিনে আমাদের শপথ করতে হবে। আবারও আমরা অশনী সংকেত দেখছি। গতকাল আতুরার ডিপু এলাকায় জামাতিরা মিছিল করার সাহস দেখিয়েছে। আমামার বন্ধুদের আহবান জানাই, যেখানে জামাত-শিবির, বিএনপি পাওয়া যাবে যেখানে তাদেরকে গণ ধোলাই দিতে হবে। মাঠে থেকে এদের প্রতিরোধ ও প্রতিহত করতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। যারা ৭১ ও ৭৫ সালের খুনিদের মদদ জুগিয়েছে তাদের বাংলার মাটিতে রাজনীতি করার অধিকার থাকতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, আমরা আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করি প্রিয় নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এই দেশকে একটি কার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন। বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে সম্মানের আসনে আসিন করেছেন। আমাদের বঙ্গবন্ধু কন্যকে টিকিয়ে রাখতে হবে, বাঁচিয়ে রাতে হবে। তিনি বেঁচে থাকলে এই বাংলাদেশ বাঁচবে। তাই আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া কোন বিকল্প দেখছি না আমরা।

এম.আর আজিম বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যে মহিয়ষী নারী তার গুনে গুণান্বিত করেছেন, বঙ্গবন্ধু যেদিন ৭ মার্চের ভাষণ দিতে যাবেন। বঙ্গবন্ধুর কট্টর যারা বিরোধিততা করেছেন সেদিন নির্মল সেন একজন সাংবাদিক। তিনি বঙ্গবন্ধুর সাথে একই টেবিলে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু তারাতারি ওঠে গেলেন এবং নির্মল সেন তখনো ভাতের টেবিলে বসা।

বঙ্গবন্ধু তাকে বললেন, নির্মল যতই তুই আমার কাছে আছিস, আসবি। তুই আমার বিরুদ্ধে লিখতে থাকবি। তুই এখনো আমাকে আর কামালের মাকে চিনতে পারলি না। বঙ্গবন্ধু এমন এক নেতা ছিলেন, তার সাথে দেশের যারা বিরোধিতা করেছেন তাদের পরিবারের খোঁজ রাখতেন জাতির পিতা। সেই নেতাকে ওই কুচক্রী মহল পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট কালো রাতে কর্ণেল মেজর জিয়া ও তাদের অনুসারীরা ক্রস ফায়ার করে সেদিন রাতে হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধুর নিশানাকে নিশ্চিহ্ন করা  ষড়যন্ত্র করে সে পরিবারকে হত্যা করেছে। এখানে শেষ নয়, দেশরত্ন শেখ হাসিনাকেও বারে বারে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। ১৯ বার তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।

বীর চট্টগ্রালা মহি উদ্দিন চৌধুরীর এ শহর। এই চট্টগ্রামে যত আন্দোলন সংগ্রাম করেছে আমাদের প্রয়াত নেতা মহিউদ্দিন চৌধূরীর নেতৃত্বে। তারই সুযোগ্য সন্তান মহিবুল হাসান নওফেল আমাদের নেতা, তার সাথে আমরা আছি। তিনি আমাদের সাথে আছেন। সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে বীর চট্টগ্রামের মাটিকে আমরা মহিউদ্দিন চৌধূরীর শেখ হাসিনার ঘাঁটিতে পরিণত করবো। এবং যে কোনো ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করে আগামী নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করবো এই আশা রাখি।

অনুষ্ঠানে ষোলশহর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোবারক আলী বলেন, যে নারী তার জীবন, তার সংসার। সকল  কিছু উৎসর্গ করেছেন সে মহিয়ষী নারী বঙ্গবাতা বেগন ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। আজ তার ৯২ তম জন্মবার্ষিকী। তিনি এমন এক নারী, যিনি জাতির পিতা শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু বানিয়েছেন। তান সংসার, তার কর্ম অমাদের জন্য অনুকরণীয়।

 

কেএস