চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় চোর চক্রের তিন সদস্য কে গ্রেপ্তার করেছে রাউজান থানা পুলিশ। ওরা তিন কিশোর বন্ধু মিলে কাজের ফাঁকে ফাঁকে মানুষের ঘরে ডুকে চুরি করতো। আবার কখনো কখনো চোরের মাল কিনে অপরের কাছে বিক্রিও করতো। সর্বশেষ ফাঁদ পেতে এই কিশোর চোরচক্রকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
সোমবার (৮ আগস্ট) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রাউজান পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল গাফফার সুলালের ছেলে মোফচ্ছেল হোসেন ওরফে আরিফ চৌধুরী (২০), একই এলাকার মো. সুলতানের ছেলে মো. তাহের হোসেন ওরফে রিয়াদ (২১) ও নোয়াখালি জেলার হাতিয়া থানার দিদার হোসেনের ছেলে ও রাউজান বাঘপুকুর পাড়ে বসবাসকারি মো. হাসান (১৯)। তাদের দেওয়া স্বাীকারোক্তি নিয়ে উদ্ধার করল চুরি করা ঘরের আসবাব পত্র টিভি, ফ্রিজ, পাখাসহ বেশ কিছু জিনিষ।
রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, তিন কিশোর চোর গত ৩ আগস্ট রাউজানের নন্দিপাড়ার প্রয়াত শ্যামল ভট্টচার্য্য এর বাড়িতে জানালা কেটে ঘড়ে প্রবেশ করে নিয়ে গেছে টিভি-ফ্রিজ, পাখা, কম্প্রোসার মেশিন, গ্যাস সিলিন্ডারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ঘরের আসবাব পত্র। চুরির ঘটনার আগে পরিবারের সদস্যরা ঘরে তালা দিয়ে আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম।ঘরে পরিবারের কেউ না থাকায় তারা চুরি করার কৌশল নেয়। চুরির এই অভিযোগ পেয়ে পুলিশ চোর চক্রটিকে ধরার কৌশল নিয়ে এতদিন কাজ করেছে। সর্বশেষ ৮ আগস্ট ভোরে চোর চক্রটিকে সনাক্তের পর তাদের গ্রেপ্তার করে চুরির ঘটনা উদঘাটন করা হয়েছে। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুসরণ করে বিভিন্ন বাড়ি থেকে তাদের বিক্রিকরা জিনিষপত্র উদ্ধার করেছে। উদ্ধার করা জিনিষপত্র সনাক্ত করেছেন এসব জিনিষের মালিক প্রয়াত শ্যামল ভট্টচার্যের স্ত্রী ইলা ভট্টচার্য্য। তিনি সোমবার এই চুরির ঘটনায় তিন চোরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
দুপুরে গ্রেপ্তার তিন চোরচক্রের সদস্য কে মামলার আসামি হিসাবে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কেএস