লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌরসভার আঙ্গারপাড়া, পশ্চিম টামটা গ্রামের মাঝখানে ওয়াবদা খালের উপর দিয়ে মানুষ পারাপারের একমাত্র ভরসা ঝুঁকিপূর্ণ এই বাঁশের সাঁকো। প্রতিদিন কয়েক শ’ মানুষ চলাচল করে থাকে।
বর্ষা এলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় মসজিদের মুসুল্লি, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েদের। ঝড়-বৃষ্টিতে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছেন দুই গ্রামের মানুষ।
মসজিদের ইমাম ও স্থানীয় লোকজন জানান, এই সাঁকোটি দিয়ে প্রায় শত শত পরিবার যাতায়াত করে থাকে। প্রায় ১৫-২০ বছর যাবৎ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মসজিদের মুসুল্লি, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণির মানুষ এই সাঁকোটি ব্যবহার করে আসছেন।
সাঁকোটি ৪০-৫০ ফুট দৈর্ঘ্য। আশা করি, শিগগিরই এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হোক। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ না হওয়ায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এই দুই গ্রামের শিক্ষার্থীরা।
৮০ বছর বয়সের এক বৃদ্ধের সঙ্গে আলাপ করলে তিনি বলেন, ‘আমাদের এই ভোগান্তি কেউ দেখতে আসেন না। এই ভোগান্তি কবে শেষ হবে জানিনা। কতবার কত লোক এসে মাপজোক নিয়ে যায়। কিন্তু কোনো কাজ হয় না। আমরা রামগঞ্জ পৌর মেয়র ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সুদৃষ্টি কামনা করি।
আমারসংবাদ/টিএইচ