খাগড়াছড়িতে মানসিক ভাবে কিছুটা ভারসাম্যহীন সন্তানকে বিক্রি করতে চাওয়া মা সোনালী চাকমার পাশে দাঁড়িয়েছেন জেলা প্রশাসন।
সোনালী চাকমার ভাই ভারতব চাকমা বলেন, ‘দিদি মানসিকভাবে কিছুটা ভারসাম্যহীন। মৃগী রোগী। এ জন্য মাঝেমাঝে এলোমেলো কথা বলেন। বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ি বাজার থেকে এক চেয়ারম্যান ফোন করে ছেলেকে বিক্রি চেষ্টার কথা জানালে বাবা গিয়ে দিদি ও ভাগিনাকে নিয়ে আসেন।
রোববার (১৪ আগস্ট) সকালের দিকে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মা সোনালী চাকমার হাতে সঞ্চয়পত্র করার জন্য এক লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস।
এ সময় ছেলে রাম কৃষ্ণ চাকমার ভবিষ্যত সুরক্ষা ও পড়ালেখার সুবিধা নিশ্চিতে থাকা সমাজসেবা পরিচালিত সরকারি শিশু পরিবারে থাকার ব্যবস্থা করা হয়।
এ ছাড়া সোনালী চাকমার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রতি গৃহহীনদের জন্য ঘর প্রকল্পের আওতায় ঘর তৈরী করে দেয়ার প্রতিশ্রতি দেন জেলা প্রশাসক। পাশাপাশি, সোনালী চাকমার শারীরিক পরীক্ষা করে তার সুচিকিৎসা ও মানসিক ভারসাম্যহীন হলে প্রতিবন্ধী ভাতার আওতায় আনা হবে বলেও জানানো হয়।
গণমাধ্যমের ভূমিকাকে প্রশংসা করেন জেলা প্রশাসক। এ সময় খাগড়াছড়ি সমাজসেবার উপ-পরিচালক মনিরুল ইসলাম, ভাইবোন ছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুজন চাকমা, খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাব সভাপতি জীতেন বড়ুয়া ও সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার অভাবের তাড়নায় নিজের ছয় বছর বয়সী ছেলে রাম কৃষ্ণ চাকমাকে বিক্রির উদ্দেশে খাগড়াছড়ি বাজারে নিয়ে যান মা সোনালী চাকমা। এ সময় তার মূল্য হাকা হয় ১২ হাজার টাকা। স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির হস্তক্ষেপে বিক্রির হাত থেকে রক্ষা পায় রামকৃষ্ণ। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন বিত্তবানরা।
কেএস