প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ মামলার মূল আসামি গ্রেপ্তার

হাতীবান্ধা (লালামনিরহাট) প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২২, ০৪:২১ পিএম

হাতীবান্ধায় আলোচিত প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ মামলার মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

মঙ্গলবার রাতে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়নের তমর চৌপতি এলাকা থেকে মোকাররম হোসেন শাহিন (৪০) নামে ওই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার শাহিন হাতিবান্ধার দক্ষিণ সিন্দুনী এলাকার জালাল উদ্দিনের জামাতা।

বুধবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে র‌্যাব-১৩ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক  ফ্লাইট লেঃ মাহমুদ বশির আহমেদ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

এর আগে এ নিয়ে একটি সরেজমিন তদন্ত প্রকাশ করেছিলো জাতীয় দৈনিক আমার সংবাদ। সেই সংবাদ প্রকাশের জের ধরেই থানায় লিখিত অভিযোগ করেন মানসিক প্রতিবন্ধী ওই কিশোরী।

র‌্যাব জানায়, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ১৪ বছর বয়সী এক মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে বাড়িতে ডেকে এনে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে সিন্দুর্না ইউনিয়নের তমর চৌপতি এলাকার বাসিন্দা মোকাররম হোসেন শাহিনের বিরুদ্ধে। অভিযোগটির বিষয়ে ব্যাপক ছায়া তদন্ত শুরু করে র‌্যাব। গত ১৫ আগস্ট ভিকটিম এর মা বাদী হয়ে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার ভিত্তিতে র‌্যাব-১৩, রংপুরের একটি আভিযানিক দল মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করেন।

র‌্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামি ভিকটিমকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করে। গ্রেপ্তারের পরে উক্ত আসামী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই দিনের সম্পূর্ণ ঘটনা বর্ণনা করে।

তার বর্ণনা মতে জানা যায়, গত ২০ জুন আসামি মোকাররম হোসেন শাহিন প্রতিবন্ধী কিশোরীকে তার নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। ঐ সময়ে মোকাররম এর স্ত্রী বাড়িতে উপস্থিত ছিল না। ধর্ষণের পর বিষয়টি কাউকে না জানাতে সে কিশোরীকে হুমকি দেয়। এর ২/৩ মাস পর কিশোরীর হঠাৎ করে শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন পরিলক্ষিত হলে কিশোরীর মা ও এলাকার মহিলারা এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, কিশোরীটি তাদেরকে ২/৩ মাস আগে শাহিনের স্ত্রী বাড়িতে না থাকায়, তাকে শাহিনের নিজ বাড়িতে নিয়ে জোড় পূর্বক ধর্ষণ করেছে বলে বিষয়টি জানায়। আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহা আলম বলেন, আসামিকে র‍্যাব আটক করার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসা শাহিন ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছে। জেলা আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

কেএস