মা সুলতানা বেগম রান্নাঘরে খাবার তৈরীর কাজে যখন ব্যস্ত সময় পার করছিল, ঠিক তখন তার চার বছর বয়সী একমাত্র শিশুপুত্র সামিউল ভাসছিল বাড়ির টিউবয়েলের নালার গর্তের সামান্য পানিতে। পরে শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করে হাসাপাতালে নিয়ে গেলেও কোনো লাভ হয়নি। হাসাপাতালে নিতে নিতেই নিভে যায় তার জীবন প্রদীপ। সামিউল ফরিদপুরের সালথা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের প্রবাসী বিল্লাল বিশ্বাসের একমাত্র ছেলে।
শনিবার (২০ আগস্ট) সকালে সালথা উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের উজিরপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুর চাচাতো বোন লাইলি পারভিন বলেন, শনিবার বেলা ১১ টার দিকে শিশু সামিউলকে বাড়ির উঠানে রেখে গিয়ে তার মা রান্না করছিল। কিছু সময় পর এসে তাকে উঠানে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। একপর্যায় বাড়ির টিউবয়েলের নালার গর্তে গিয়ে দেখা যায়, মাথা জাগিয়ে পানিতে ভাসছে সামিউল। পরে তাকে উদ্ধার করে পাশ্ববর্তী বোয়ালমারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
যদুনন্দী ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, একদিকে একমাত্র ছেলে সামিউলের মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকে পাথর হয়ে বাড়িতে রয়েছেন মা সুলতানা। অন্যদিকে সন্তানের মৃত্যুর খবরে শোকে কাতর হয়ে বিদেশে কাতরাচ্ছেন বাবা বিল্লাল। আবার সামিউলের এমকাত্র চাচা সাবেক ইউপি সদস্য সিরাজ বিশ্বাস একটি মামলায় রয়েছেন কারাগারে। এমন পরিস্থিতে শোকাহত পরিবারটিকে শান্তনা দেওয়ার কোনো ভাষা নেই।
কেএস