শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাটে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সোমবার (২২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদ হলরুমে সার ও বীজ মনিটরিং কমিটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাফী বিন কবিরের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপজেলার প্রতিটি সার ও বীজ ডিলারের দোকানে তদারকি করার জন্য উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদেরকে সার্বক্ষণিক তদারকির জন্য উপস্থিত হয়ে দেখতে হবে।
এছাড়া বরাদ্দকৃত সার গাড়ি থেকে নামানোর সময় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা উপস্থিত থাকতে হবে। সার সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রয় নিশ্চিত করতে হবে।
চাহিদা মোতাবেক সারের বরাদ্দ না পাওয়ায় অতিরিক্ত সারের প্রয়োজন হতে পারে এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুষ্ঠু বিতরণের জন্য পরিদর্শনে যেতে হবে। ইউনিয়নের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত ডিলার তাকে সেই ইউনিয়নের সার মজুত নিশ্চিত করতে হবে এবং কৃষকদের সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার বিক্রি করতে হবে।
এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুজন দাশ গুপ্ত, উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা কৃষি অফিসার মো. শাহাবুদ্দিন, উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির উপদেষ্টা ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ আবুল খায়ের, সদস্য উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (ভারঃ) ডাঃ কে এম তানজির নাঈম, সদস্য উপজেলা মৎস্য অফিসার হাসিবুল হক, সদস্য উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নাজমুল হাসান, গোসাইরহাট থানার এস আই মতিউর রহমান, সদস্য প্রতিনিধি ও ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক মিঞা, প্রেসক্লাবের সভাপতির পক্ষে উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সদস্য ও দৈনিক যায়যায়দিনের প্রতিনিধি এস এম নাজমুল হোসেন, কৃষক প্রতিনিধি উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন হাওলাদার প্রমুখ।
সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাফী বিন কবির বলেন, আকস্মিক সারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় পূর্বের মজুদকৃত সার নির্ধারিত মূল্যে বাজার জাত করার লক্ষ্যে নির্দেশনা প্রদান করা হয় এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যের শুধু মাত্র ইউরিয়া সার বর্ধিত দামে নতুন চালান প্রাপ্তি সাপেক্ষে বিক্রয় করার নির্দেশ প্রদান করেন।
এই সিদ্ধান্ত অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে উপজেলা সার ও বীজ বিক্রয় মনিটরিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক নিয়ম অমান্য করলে বাজার মনিটিং করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সময়ে সারের কোন ঘাটতি নেই। বর্তমানে আগস্ট মাসের রোপা মৌসুমে গোসাইরহাট উপজেলায় ৯০ টন সার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এই সার সরকার নির্ধারিত মূল্যে অনুমোদিত ডিলারের মাধ্যমে কৃষকদের কাছে বিক্রয় করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এআই