গাইবান্ধার মায়ের থেকেও ছেলের বয়স বেশি তিন বছর! আর অপর এক ছেলে মায়ের থেকে ছোট মাত্র এক বছরের! বিষয়টি বড় বিস্ময়কর মনে হলেও জেলার সাদুল্লাপুরে উপজেলায় ভুল তথ্যে করা এনআইডি কার্ডে ঘটেছে এমন ঘটনা। এ ঘটনায় দরিদ্র হওয়া সতেও বয়সের ওই ভুলে বাতিল হয়েছে বৃদ্ধা ওই মায়ের বয়স্কভাতার কার্ড।
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের পূর্ব দামোদরপুরের মৃত গোলজার হোসেন চৌকিদারের স্ত্রী জোবেদা বেগম। বয়স প্রায় নব্বইয়ের কাছাকাছি। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্রে বৃদ্ধা জোবেদা বেগমের জন্ম তারিখ দেওয়া হয়েছে ১০ মার্চ ১৯৬৫। আর তার বড় ছেলের জন্ম তারিখ দেখানো হয়েছে ৫ এপ্রিল ১৯৬২। সে অনুযায়ী ছেলে আব্দুল জোব্বার তার মায়ের চেয়ে বড় প্রায় ৩ বছরের। শুধু তাই নয়, আরেক ছেলে জয়নাল মিয়ার জন্ম তারিখ দেখানো হয়েছে ১৩ জুন ১৯৬৬। সে অনুযায়ী মায়ের চেয়ে ছেলে জয়নাল ছোট এক বছর তিন মাসের।
এদিকে বৃদ্ধা জোবেদা বেগমের স্বামী গোলজার হোসেন ছিলেন বয়স্কভাতা কার্ড ভোগী। তার মৃত্যুর পর বয়স্কভাতার কার্ডটি বরাদ্দ পান বৃদ্ধা স্ত্রী জোবেদা বেগম। পরে প্রায় পাঁচ বছর ভাতার অর্থও উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। কিন্তু চলতি বছরে অনলাইন ডাটাবেইজ করার সময় এনআইডিতে বয়স কম থাকায় বাতিল হয়ে যায় তার ভাতার কার্ডটি। কার্ডটি ফেরত পেতে এনআইডি সংশোধন করতে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে পরিবারটিকে।
বয়সের তারতম্যে পড়া পরিবারটি জানায়, তাদের এই বয়স ঠিক করতে পরতে হচ্ছে নানা বিড়ম্বনায়। বয়স সংশোধনে বিভিন্ন কাগজপত্রের জটিলতায় এখনো ঠিক করা যায়নি বৃদ্ধা জোবেদা বেগমের এনআইডি কার্ড। যার ফলে ফেরানো সম্ভব হচ্ছেনা বৃদ্ধার বয়স্কভাতার কার্ডটিও।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মানিক রায় বলেন, `জাতীয় পরিচয়পত্রে নির্ধারিত বয়সের চেয়ে কম হওয়ায় অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি হয়নি। এজন্য তার বয়স্কভাতার কার্ডটি বাতিল হয়েছে। এনআইডি সংশোধন হলে পুনরায় তার ভাতার কার্ড ইস্যু করা হবে।`
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, `প্রথম দিকে ২০০৮ সালের ডাটা এন্ট্রিতে এমনটা হতে পারে। তবে সংশোধনীর আবেদন করলে বয়স ঠিক করা যাবে।` এসময় বয়স সংশোধনীর আবেদন করতে পরামর্শ দেন তিনি।
আমারসংবাদ/এসএম