সড়কের পাশে জমির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় জবর দখলের চেষ্টা

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২২, ০৭:১২ পিএম

কক্সবাজারের পেকুয়ায় ভিন্ন দাগে জমি ভোগ দখলে থাকা সত্ত্বেও সড়কের পাশের জমি মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সন্ত্রাসী কায়দায় জবর দখলের চেষ্টা চালানো হয়েছে। এমনকি দীর্ঘ ৫০ বছরের ভোগ দখলীয় জমিতে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে ধানের চারা রোপন করার চেষ্টা করলে জমি মালিক পক্ষ ও স্থানীয় লোকজনের প্রতিরোধের মুখে পালিয়ে গেছে দখলবাজ ভূমিদস্যুরা। পেকুয়া সদর ইউনিয়নের উত্তর মেহেরনামা গ্রামের বারবাকিয়া রাস্তার মাথায় ২৭ আগস্ট ভোর সকালে ঘটেছে এ ঘটনা। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।  

এ ঘটনায় পেকুয়া সদর ইউনিয়নের উত্তর মেহেরনামা গ্রামের মৃত হাজী ইউছুপ আলীর পুত্র হাজী শাহ আলম (৭০) বাদী হয়ে ইতোপূর্বে পেকুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এতে বিবাদী করা হয়েছে; এতে বিবাদী করা হয়েছে; একই এলাকার হাবিবুর রহমানের পুত্র গিয়াস উদ্দিন, শাহাব উদ্দিন, ছরওয়ার, মহিউদ্দিন সহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জনকে।

অভিযোগে শাহ আলম জানান, তিনি বিগত ৫০ বছর পূর্বে থেকে তার পৈত্রিক ও খরিদসূত্রে ৬০কড়া জমি নিয়ে চাষাবাদ করে শান্তিপূর্ণ ভোগ দখলে আছেন। একইভাবে বিগত ২৪ বছর পূর্বে আমার ভাই ও অভিযুক্তদের হাবিবুর রহমান কিছু সংখ্যক জমি ক্রয় করে তাও শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখলে রয়েছেন। কিন্তু ক্রয়কৃত উক্ত জমি দখলরত অবস্থায় বাদী শাহ আলমের অংশের জমিতে গিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় জোর পূর্বক জবর দখলের চেষ্টা চালায়। অভিযুক্তদের পিতার খরিদকৃত ৫৪ কড়া জমি ছাড়াও বাদী পক্ষের রাস্তার লাগোয়া ৬০কড়া জমি জবর দখলের চেষ্টাসহ হুমকি ধমকি অব্যাহত রাখলে থানায় ২১আগষ্ট একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগটি বর্তমানে থানার উপপরিদর্শক হেফজুর রহমান তদন্ত করছেন। থানায় অভিযোগ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ২৭আগস্ট ভোর সকালে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে জমিতে ধানের চারা (রোয়া) রোপন করে করে জবর দখলের চেষ্টা চালায়। পরে জমি মালিক পক্ষ ও স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গেলে ভূমিদস্যু দখলবাজরা পালিয়ে যায়। তারা বর্তমানেও হুমকি ধমকি অব্যাহত রেখেছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গিয়াস উদ্দিন, শাহাব উদ্দিন, ছরওয়ার, মহিউদ্দিন গংকে এলাকায় স্থাণীয়রা চিহ্নিত ভূমিদস্যু, দখলবাজ ও সন্ত্রাসী হিসেবে চিনেন। তাদের অত্যাচারে সাধারণ মানুষ অতিষ্ট। তাই আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানিয়েছেন।

কেএস