ময়মনসিংহের নান্দাইলে কাতার প্রবাসী এক রেমিটেন্সযোদ্ধার স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করায় সিদ্দিক মিয়া (৪০) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এতে প্রবাসীর স্ত্রীর বাড়িতে পুনরায় হামলা চালিয়ে বাদীনিকে মারধর ও লুটপাট সহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে অভিযুক্ত সিদ্দিক মিয়া।
পরে প্রবাসীর স্ত্রী মামলার বাদীনি শনিবার (২৭ আগস্ট) পুনরায় সিদ্দিক মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় আরো একটি মামলা দায়ের করেন। এমনই নিন্দাজনক ঘটনাটি ঘটেছে নান্দাইল উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের বিয়ারা গ্রামে।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত সিদ্দিক মিয়া (৪০) বিয়ারা গ্রামের মো. নূরুল গফুর ভূইয়ার পুত্র। সিদ্দিক মিয়ার বিরুদ্ধে এলাকায় ইয়াবা ব্যবসা ও লম্পটের অভিযোগ রয়েছে।
গত ৩ আগস্ট রাত ১টার দিকে একই গ্রামের কাতার প্রবাসী জুয়েল মিয়ার বাড়িতে প্রবেশ করে এবং সুকৌশলে ঘরের দরজা খুলে প্রবাসীর স্ত্রী তথা গৃহবধূকে ঘুমন্ত অবস্থায় জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে।
এতে গৃহবধূর আত্মচিৎকারে পাশের ঘরে থাকার স্ত্রী স্বজনরা সহ স্থানীয় লোকজন দৌঁড়ে আসতে থাকলে ধর্ষণের চেষ্টাকারী সিদ্দিক মিয়া পালিয়ে যায়। পরে এ ঘটনায় ১৯ আগস্ট ২২ইং প্রবাসীর স্ত্রী বাদী হয়ে সিদ্দিক মিয়া বিরুদ্ধে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নান্দাইল মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১২/২০৮। উক্ত মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার মো. নূর আলম আসামী সিদ্দিক মিয়াবেক গ্রেপ্তার করার জন্য অভিযান পরিচালনা করেন।
এতে আসামী সিদ্দিক মিয়া আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং মামলার বাদীনিকে উক্ত মামলা প্রত্যাহার করার জন্য প্রাণনাশের হুমকী দেয়। একপর্যায়ে গত ২৬ আগস্ট দিবাগত ভোর রাতে আসামী সিদ্দিক মিয়া, শাহজাহান ও তাড়াইল উপজেলার দামিহা গ্রামের জিয়াউর রহমানের পুত্র রামিম সহ অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে নিয়ে বাদীনীর বাড়িতে প্রবেশ করে পুনরায় হামলা চালিয়ে বাদীনীকে মারধর সহ ২টি মোবাইল ফোন সেট ও নগদ ৩৭ হাজার টাকা অস্ত্রের মুখে ছিনতাই করে নিয়ে যায় এবং উক্ত মামলা প্রত্যাহার না করলে বাদীনিকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকী দিয়ে যায়।
পরে দ্বিতীয় বারের মত উক্ত ঘটনায় গৃহবধূ ২৭ আগস্ট বাদী হয়ে নান্দাইল মডেল থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ সহ আরও একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বর্তমানে মামলার বাদীনি ও তাঁর পরিবার-পরিজন আতংকে দিন কাটাচ্ছে। মামলার বাদী অভিযুক্ত ব্যক্তি সিদ্দিক মিয়ার হাত থেকে রেহাই পেতে ঊর্ধ্বতন পুলিশ প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এ ব্যাপারে নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ওবায়দুর রহমান অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উক্ত ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ সহ দ্রুত সকল আসামীদেরকে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এআই