টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে শারিরিক নির্যাতন, গলায় বেল্ট পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ পৈশাচিকভাবে ৭ম শ্রেণীর এমাদরাসা ছাত্রকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের গোড়াইল গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে সিফাত (১৩) বলে জানা গেছে।
৯৯৯ এ ফোন পেয়ে সোমবার (২৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে পৌরসদরের পোষ্টকামুরী মাঝিপাড়া এলাকায় একটি ধুমচা ক্ষেত থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত সিফাতের বন্ধু নুরুল আমীন জানায়, সন্ধ্যায় সিফাতের সাথে সে বংশাই রেলক্রসিং এলাকায় চটপটি খেতে যায়। চটপটি খাওয়া অবস্থায় তাদের চাইতে বেশী বয়সী অজ্ঞাত একটি ছেলে কানে কানে সিফাতকে কিছু একটা বলার পর সিফাত তাকে বসতে বলে পশ্চিমদিকে রেলক্রসিং বরাবর চলে যায়। এরপর বেশ লম্বা সময় অতিবাহিত হলেও সিফাত ফিরে না আসায় নুরুল আমীন বাড়ি ফিরে যায়।
এদিকে সিফাত হত্যাকাণ্ডের সাথে প্রতিবেশী একটি ছেলে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন সিফাতের বাবা শহীদ মিয়া।
তিনি বলেন, ১০-১২ দিন আগে আমার ছেলেকে মারপিট করার ঘটনায় ওই ছেলেকে স্থানীয় মাতাব্বররা জুতা পেটা এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ওই ছেলে আত্মগোপনে চলে যায়। এছাড়াও হত্যাকান্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের বিচার দাবি করেন।
মরদেহ উদ্বারকারী মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক মিনহাজ উদ্দিন বলেন, প্রাথমিকভাবে লাশের গায়ে বেশ কিছু শারিরিক আঘাত ও নৃশসংসতার আলামত পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে সিফাতের হত্যাকন্ডের সাথে একাধিক ঘাতক জড়িত। মরদেহ ময়না তদন্তদের জন্য টাঙ্গাইল পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, সিফাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের হচ্ছে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ময়না তদন্তদের রিপোর্ট পেলে আসল রহস্য বের হবে।
কেএস