অবশেষে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবীর প্রেক্ষিতে কুষ্টিয়ায় সৈয়দ মাছ-উদ রুমী কলেজের গভর্নিং কমিটি পুরাতন টিন সেড ক্লাস কক্ষ মেরামতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে করে কলেজের শিক্ষার পরিবেশ ও ঐতিহ্য ফিরে পাবে বলে শিক্ষার্থীরা মনে করছেন।
দীর্ঘ দিন ধরে ৬টি ক্লাস কক্ষে শিক্ষকরা তাদের শিক্ষার্থীদের পাঠদানে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়ে ছিল। দীর্ঘদিনের পুরাতন টিন সেড ক্লাস কক্ষ গুলো গাছের ডালপালা, পাতা পড়ে টিন ছিদ্র হয়ে যাওয়ায় পাঠদানে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছিল। এরপর আবার বিদ্যুতের শর্ট সার্কিটে ক্লাস কক্ষগুলো ছিল ঝুঁকির মধ্যে।
কলেজের বর্তমান গভর্নিং কমিটি শিক্ষার্থীদের দাবীর মুখে কলেজের লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করতেই পুরাতন টিন সেড ক্লাস রুমসহ ৬টি কক্ষের চালের উপর থাকা পচনধরা নারিকেল ও মেহগুনিয়া গাছ কেটে দিয়ে পুরাতন টিন ফেলে নতুন টিন শেড করে ক্লাস কক্ষের মেরামতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে করে শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরাও খুশি হয়েছে।
এদিকে পচনধরা গাছ কলেজ কর্তৃপক্ষ অপসারণ করাকে কেন্দ্র করে একটি অসাধু চক্র পুনরায় চক্রান্ত শুরু করেছে। লেখাপড়ার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্যই কলেজের গভর্নিং বডি এক সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্লাস কক্ষ গুলো রক্ষায় ওইসব গাছ কর্তন করা হয়েছে বলে জানায়। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুরাতন টিন ফেলে দিয়ে নতুন টিন শেডের ক্লাস কক্ষ তৈরির প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে একটি চক্র কলেজের ক্ষতি ও লেখাপড়া বিঘ্নিত সৃষ্টি করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। তাদের এই ষড়যন্ত্র অবশেষে ভেস্তে গেছে।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসনের পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি), পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে সার্কেল এসপি এবং বন বিভাগ তদন্তও করেছেন। তবে তদন্তকারী সকল কর্মকর্তা বলেছেন, কলেজের গাছ কাটতে হলে যে নিয়ম মানতে হয় তা না জেনে কলেজ কর্তৃপক্ষ করেছে। কলেজের গভর্নিং কমিটির সভাপতি এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন গালিব বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে সুন্দর পরিবেশে তারা লেখাপড়া করতে পারে সে দিকে লক্ষ রেখেই আমরা ক্ষতিকারক গাছ গুলো কর্তন করে কলেজ উন্নয়নের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আগামীতে এ ধরনের ভুল আর হবে না।
এ বিষয়ে সৈয়দ মাছ-উদ রুমী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আঞ্জুমান আরা জানান, গাছের ডালপালা কলেজ ভবনের টিনের চালের উপর আসায় গাছগুলো কাটা হয়েছে রেজুলেশনের মাধ্যমে। এ ছাড়া ক্লাস কক্ষের পাশে থাকা আবাসিক এলাকার লোকজন কলেজ চত্বরে ময়লা আবর্জনা ফেলে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছিল। ক্লাস চলাকালে ময়লার দূর্গন্ধে ক্লাস নেয়া বা লেখাপড়ার চরম ক্ষতি হচ্ছিল। গাছ গুলো কেটে নতুন টিন শেড দেয়া হলে কলেজের একদিকে শিক্ষার পরিবেশ সুন্দর হবে পাশাপাশি ক্লাস কক্ষগুলো আর ঝুঁকিতে থাকবেনা।
এসএম