পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের সোমবাড়িয়া বাজার ও চম্পাপুর ইউনিয়নের সংযোগ সেতুটির বেহাল দশা। দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ চলাচলের একমাত্র সেতুটি এখন মরণফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কোন সময়ে বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা করছে স্থানীয়রা। অতিদ্রুত সেতুটি সংষ্কার ও নির্মাণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছেন তারা।
সরেজমিনে জানা যায়, ইউনিয়নের সোমবাড়িয়া বাজার ও চম্পাপুর ইউনিয়নের সংযোগ সেতুটি স্থানীয়দের যাতায়তের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সেতু। এ সেতু দিয়ে স্থানীয়রা উপজেলা সদরসহ সোমবাড়িয়া বাজারে যাতায়ত করে থাকে। ছাত্র-ছাত্রীরা অত্যান্ত ঝুঁকি নিয়ে স্কুল-কলেজে যাতায়ত করে। ২০১৭ সালের বন্যায় এ সেতুটি ধসে যায়। এরপরে এটি এখনো মেরামত করা হয়নি। ধসে যাওয়া সংযোগ সড়কে কাঠ-বাঁশ দিয়ে সেতু বানিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন স্থানীয়রা।
এলাকাবাসীদের নিকট হতে জানা যায়, বিগত ৪-৫ বছরে এ দুই ইউনিয়নের সেতুটি মেরামতে কারো মাথা ব্যাথা নেই। এ সেতু দিয়ে প্রতিনিয়ত শত শত মানুষের চলাচল করতে হয়। চলাচল করতে গিয়ে শিশু সহ সাধারণ মানুষ বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনায় জখম হওয়ার ঘটনা রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে এ সেতুটি অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ধানখালী এসএইচ এন্ড আশ্রাফ একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ধানখালী সোমবাড়িয়া বাজার সংলগ্ন ৭২নং দক্ষিন চালিতাবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ সেতু দিয়ে চলাচল করে।
স্থানীয় সংবাদ কর্মী মেহেদী হাসান বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে এ সেতুটি সংস্কার করা হয়নি। এলাকার মানুষের সহযোগিতায় কাঠ-বাঁশ দিয়ে মেরামত করে কোন রকমে চলাচল করে আসছি। ঘূর্ণিঝড়ের সময় আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার একমাত্র সেতু এটি। এ সেতুটি অতিদ্রুত মেরামত করা এখন সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে তারা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
ধানখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রিয়াজ তালুকদার বলেন, এ ব্রিজটি এখন পুরোপুরি অকেজো হয়ে গেছে। এটার টেন্ডার হয়েছে, অল্প দিনের মধ্যেই কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। জনসাধারনের চলাচলের জন্য আপাদত একটি কাঠের সাঁকো তৈরী করা হবে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোহর আলী বলেন, এ আয়রন ব্রিজটির টেন্ডার হয়ে গেছে, সংষ্কার ও নির্মাণ কাজ খুব দ্রুতই শুরু করা হবে।
কেএস