সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বেলতৈল ইউনিয়নের ঘোরশাল গ্রামের ফসলি মাঠে বন্যার পানির মধ্যে থেকে এক গার্মেন্টস শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে শাহজাদপুর থানা পুলিশ। এসময় লাশের পাশেই পনির মধ্যে ভাসছিল বিষের বোতল।
পরে খবর পেয়ে রোববার বিকেলে শাহজাদপুর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। নিহত কার্মেন্টস কর্মী আব্দুল আলীম (৩৫) উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের চর বাওয়াইকোলা গ্রামের আব্দুল হক সরদারের ছেলে।
এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহত আব্দুল আলীম উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের চর বাওয়াইকোলা গ্রামের আব্দুল হক সরদারের ছেলে। যমুনার ভাঙ্গণে বাড়িঘর হারিয়ে ২/৩ বছর আগে আব্দুল হক শশুরবাড়ী বেলতৈল ইউনিয়নের ঘোরশাল গ্রামে বসবাস শুরু করে। সেইসূত্রে আব্দুল আলীমও বাবামায়ের সাথেই থাকতো। জীবিকার তাগিদে আব্দুল আলীম পাড়ি যমান ঢাকায়।
সেখানে একটি গার্মেন্টস কারখানায় চাকরি করে আসছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। আব্দুল আলীম পরপর দুইটি বিয়ে করলেও দুজনই ছেড়ে গেছে তাকে। স্ত্রীরা তাকে ছেড়ে যাওয়ার পর অনেকদিন ধরেই হতাশা ও মানসিক অশান্তির মধ্যদিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন তিন।
এরমধ্যেই শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সে ঢাকা থেকে নানার বাড়ীতে অবস্থানরত বাবা-মায়ের কাছে আসে। এরপর রোববার সকাল ৮টার দিকে মায়ের রান্না করা ভাত খেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। বেলা ১১টার দিকে মাঠের মধ্যে পানিতে তার লাশ দেখতে পায় এলাকাবাসী।
পরে ইউপি সদস্য জহুরুল ইসলাম পুলিশে খবর দিলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) মোঃ হাসিবুল ইসলাম ও ইন্সপেক্টর (অপারেশন ) আব্দুল মজিদ ঘটনাস্থলে যান এবং বিকেলে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ইন্সেপেক্টর (অপারেশন) আব্দুল মজিদ জানান, আমরা গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। লাশের কাছ থেকে একটি বিষের বোতল পাওয়া গেছে। মৃত ব্যক্তির গায়ে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তাই প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।