ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহিদী হিজল (নারকেল গাছ) প্রতীক নিয়ে বেসরকারি ভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের আব্দুল খালেক।
দীর্ঘ সাড়ে ১১বছর পর ঝিনাইদহ পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে এই ভোট গ্রহণ চলে। দুপুরে ঘণ্টাব্যাপি মুষলধারে বৃষ্টির কারণে ভোটারদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
পৌরসভায় ৮২হাজার ৬৯৫ জন ভোটার ৪৭টি ভোট কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। ভোটে মেয়র পদে ৪জন সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৬৪জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের প্রার্থী রয়েছে ১৯জন। মেয়র পদের প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত বীর মুক্তিযোদ্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুল খালেক (নৌকা প্রতীক) এছাড়া স্বতন্ত্র কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহিদী হিজল (নারকেল গাছ), মিজানুর রহমান মাসুম (মোবাইল ফোন) এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম।
ভোট গ্রহণের শুরতে আলিয়া মাদ্রাসা, কাঞ্চনপুর, পবহাটী, মোশাররফ হোসেন কলেজসহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যম্পের উপর হামলা চালায় কিন্তু আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। নির্বাচনে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এছাড়া নির্বাচনে ১৮জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, ৫ প্লাটুন বিজিবিসহ পুলিশ ও র্যারের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন। এই পৌরসভায় ২০১১সালে সর্বশেষ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহিদী হিজল ২৫হাজার ৯৮৩ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল খালেক পেয়েছেন ১৭হাজার ২৮৮ ভোট। এছাড়া কাউন্সিলর পদে ১নং ওয়ার্ডে টিপু সুলতান, ২নং ওয়ার্ড আবু বক্কর, ৩নং ওয়ার্ডে লাড্ডু মিয়া, ৪নং ওয়ার্ডে কাইসার হামিদ, ৫নং ওয়ার্ডে সাইফুল ইসলাম, ৬নং ওয়ার্ডে লিয়াকত হোসেন, ৭নং মহি উদ্দীন, ৮নং ওয়ার্ডে মো. সাদেক এবং ০৯নং ওয়ার্ডে রেজা বিশ্বাস বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছে।
এসএম