বরিশালে বাস টার্মিনালের বেহাল দশা

বরিশাল ব্যুরো প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২, ০৩:৪৬ পিএম
  • খানাখন্দ ও জলাবদ্ধতায় একাকার

দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি রুটে চলাচল করা বাস টার্মিনালের ভেতরে বড় বড় খানাখন্দ। একটু বৃষ্টিতেই খানাখন্দে পানি জমে জলাবদ্ধতা ও কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায়। আর শীতকালে টার্মিনাল ভরে থাকে ধুলা বালীতে। দীর্ঘদিন থেকে বরিশাল নগরীর ব্যস্ততম রূপাতলী বাস টার্মিনালের নেতৃত্ব নিয়ে কতিপয় প্রভাবশালীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও বেহাল দশায় থাকা এ টার্মিনালের উন্নয়নে এগিয়ে আসেনি কেউ। ফলে বাধ্য হয়েই নানাদুর্ভোগের মধ্যে প্রতিনিয়ত ২১টি রুটের হাজার হাজার যাত্রী ও শত শত বাস চালকদের এ বাস টার্মিনাল ব্যবহার করতে হচ্ছে।

মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দরা জানিয়েছেন, বড় প্রজেক্ট আসলে গুরুত্বপূর্ণ এ বাস টার্মিনালটি ভালোভাবে সংস্কার করা সম্ভব। অপরদিকে সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই টার্মিনালটি সংস্কার করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

একাধিক বাস চালকরা বলেন, বিভাগীয় শহরের দুটি বাস টার্মিনালের মধ্যে রূপাতলী বাস টার্মিনালের অবস্থা সব চেয়ে খারাপ। এ টার্মিনালের মধ্যে একবার বাস যদি ঢোকে আর বের হয় তাতে বাসের কোনো না কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেবেই।

তারা আরও বলেন, আমরা অনেকবার মালিক সমিতির নেতাদের বিষয়টি বলেছি। তারপর তারা নিজেদের সাধ্যমতো ইটের খোয়া ফেলে খানাখন্দ ঠিক করার চেষ্টা করলেও তা বেশিদিন টেকেনি। 
চালকরা আরো বলেন, বর্তমানে খানাখন্দে বৃষ্টির পানি জমে যেমন জলাবদ্ধতা ও কাঁদায় একাকার হয়ে গেছে, তেমনি শীতকালে এ বাস টার্মিনাল ধুলা বালীতে একাকার হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে বরিশাল-পটুয়াখালী বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন বলেন, টার্মিনালের ড্রেন সংস্কারের কাজ চলছে। এরপরেই টার্মিনালের সংস্কারকাজ শুরু করা হবে। আমরা মাঝেমধ্যে ভাঙা ইট ফেলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছি। তবে এবার ভালোভাবে কাজ করা হবে।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুখ আহম্মেদ বলেন, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সড়ক নির্মাণ, সংস্কারসহ নানা উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে রূপাতলী বাস টার্মিনালের কাজও ধরা হবে।

তিনি আরো বলেন, জনগণের ভোগান্তির বিষয়টি মাথায় রেখে যতো দ্রুত সম্ভব রূপাতলী বাস টার্মিনালের সংস্কার কাজ করা হবে।

কেএস