ফেব্রুয়ারিতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আংশিক অংশ খুলবে

আজিজুল হক, চট্টগ্রাম প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২, ০১:০২ পিএম

ব্যস্ততম শহর বন্দরনগরী চট্টগ্রামে নির্মিত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজের সময় ও ব্যয় বাড়লেও আগামি ফেব্রুয়ারি মাসে ১০ কিলোমিটার অংশ খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।

আগামী ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধু টানেল চালু হলে যানজট রোধে পতেঙ্গা থেকে নিমতলা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার অংশ খুলে দিতে চায় সিডিএ।

সিডিএ জানায়, চলমান প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ। নকশা পরিবর্তন ও ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় সময় ও ব্যয় বেড়েছে প্রকল্পটির। ফলে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হতে সময় লাগবে ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত। কিন্তু বঙ্গবন্ধু টানেল চালু হলে সৃষ্ট যানজট রোধে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আংশিক অংশ চালু করার প্রস্তুতি নিয়েছে সিডিএ। এরফলে টানেল এলাকায় যানজট মুক্ত রাখার পাশাপাশি, বিদেশগামী যাত্রীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে বিমানবন্দরে আসা যাওয়া করতে পারবেন।

চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক মাহফুজুর রহমান বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ৩০০টিরও বেশি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে। টানেল চালুর সঙ্গে সঙ্গে যেন এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে আংশিক অংশ হলেও যানবাহন চলাচল করতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। ফেব্রুয়ারিতে নিমতলা পর্যন্ত আংশিক অংশ চালু করার প্রস্তুতি রয়েছে। তবে দেওয়ানহাট থেকে টাইগার পাস পর্যন্ত কিছু অংশ কাজ এখনও শুরু করা যায়নি।
 
এদিকে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠানামার জন্য ৯টি র‌্যাম্প থাকলেও নতুন সংশোধিত নকশায় আরও ৬টি বাড়িয়ে ১৫টি র‌্যাম্প রাখা হয়েছে। ফলে সব ষ্টেশন থেকেই এ রুট ব্যবহার করা যাবে বলে জানান সিডিএ কর্তৃপক্ষ। এছাড়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারে টোলের হার নির্ধারণ করে টোল আদায়ের কথাও চিন্তাভাবনা করছে সিডিএ।

সিডিএথর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ৯টি র‌্যাম্প থাকলে নতুন নকশা অনুযায়ী ১৫টি র‌্যাম্প থাকবে। ফলে সব জায়গা থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠানামার সুযোগ করে দিতে আমাদের এই পরিকল্পনা।

তিনি আরও বলেন, এক্সপ্রেসওয়েতে টোলের বিষয়টি আমাদের পরিকল্পনায় আছে। কারণ প্রকল্প বাস্তবায়নে আমরা সরকারের কাছ থেকে যে টাকা লোন পাচ্ছি, তা নির্দিষ্ট সময়ে ২ শতাংশ সুদে পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু সিডিএর নিজস্ব কোনো আয়ের উৎস নেই। তাই বাধ্য হয়েই টোল নিতে হবে। তবে যে টোল নির্ধারণ করা হবে তা হবে নামমাত্র। যাতে এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারকারীদের কোনো বাড়তি খরচের মুখে পড়তে না হয়।  

কেএস