রামগতিতে জলাবদ্ধতায় নাকাল পৌরবাসী

রামগতি (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২, ০৩:০৩ পিএম

লক্ষ্মীপুরের রামগতি পৌরসভায় জলাবদ্ধতায় নাকাল জনজীবন। বিভিন্ন ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতায় প্রায় ২০/২৫ হাজার পানিবন্দী মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাপন হয়ে পড়েছে কষ্টকর।

সরেজমিন, পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে মুন্সিপাড়া বান্দেরপাড় সড়ক, ৭নং ওয়ার্ডে আদালত এলাকার নদীর পাড়, পৌর ৪নং ওয়ার্ডের আবহাওয়া অফিস সংলগ্ন এলাকায় পানি সরানোর কোন ব্যবস্থা না থাকায় এ সমস্ত এলাকার কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সবচেয়ে বেশী বিপাকে পড়েছে স্কুলগামী শিশু, কিশোর, নারী, বৃদ্ধ ও অসুস্থরা। পৌর ৫নং ওয়ার্ডের মুন্সিপাড়া ও বান্দের পাড় এলাকার অবস্থা চরম খারাপ। সেখানে হাটু পানি ডিঙিয়ে পার হতে হয় রাস্তা। খাল দিয়ে পানি নদীতে চলে যাওয়ার জন্য নেই কোন ব্যবস্থা।

পৌর শহর আলেকজান্ডার বাজারের অবস্থা তথৈবচ। বৃষ্টি ছাড়াই মাঝের গলিতে সারা বছর পানি জমে থাকে। নেই কোন পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা। কখনো পরিষ্কার করা হয় নাই ড্রেন। মাঝের গলির ড্রেনগুলো দখল করে প্রভাবশালীরা নিজেদের ইচ্ছেমত করেছে ড্রেন নির্মাণ। এখানে রাস্তার চাইতে ড্রেন উঁচু যার ফলে ড্রেনে পানি না গিয়ে জমে থাকে রাস্তায়। আর অল্প বৃষ্টিতেই মাঝ গলিতে হাঁটু পানি। চরম বিড়ম্বনায় পড়ে সাধারণ ব্যবসায়ী ও ক্রেতা।

ভুক্তভোগীরা জানায়, পানি প্রবাহের জন্য সঠিক পরিকল্পনা না করে দোকান, বাড়ী নির্মাণ, খালে পানি সরে যাওয়ার জন্য পাইপ, আধুনিক টেকসই বহুমাত্রিক ড্রেনেজ সিস্টেম, গ্রামে পাইপ বা কালভার্টের ব্যবস্থা না করা। অপরিকল্পিত ভাবে নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে ড্রেন নির্মাণ, রাস্তার চাইতে ড্রেন উঁচু, কখনো ড্রেন পরিষ্কার না করার কারণে জলাবদ্ধতা পৌরবাসীর নিত্যদিনের সঙ্গী।

বিজ্ঞজনরা, জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য দীর্ঘ মেয়াদী টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণের দাবী জানায়।

এ বিষয়ে পৌর ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহাদাত হোসেন জানান, আমাদের ওয়ার্ডের মুন্সিপাড়া ও বান্দের পাড় এলাকার অবস্থা একটু খারাপ। সেই রোডের বেশীরভাগ অংশ পাকা হয়েছে অল্পকিছু রাস্তা বাকি আছে সেটুকু আগামী বাজেটে হয়ে যাবে।

পৌর ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. নুরনবী জানান, আমার ওয়ার্ডের যেখানে সমস্যা ছিলে সেখানে পাইপ এবং কালভার্ট দিয়ে জলাবদ্ধতার সমাধান করা হয়েছে।

এসএম