২০২৩ সালে বে টার্মিনালের কাজ শুরু করবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

আজিজুল হক, চট্টগ্রাম প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২, ০৫:৩২ পিএম

২০২৩ সালে বে টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শুরুর ঘোষণা দেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বে-টার্মিনাল নির্মাণে ভূমি অধিগ্রহণ ও নকশাসহ সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আশা করি আগামী ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়ে শেষ হবে ২০২৫ সালে। ২০২৬ সালে টার্মিনালটির অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হবে।

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বে-টার্মিনাল নির্মাণের জন্য নিয়োজিত কনসালটেন্ট মেসার্স কুনহুয়া দাই জেভির তৈরি করা মাস্টারপ্ল্যান এর উপর স্টেক হোল্ডার ও বন্দর ব্যবহারকারী জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান এসব কথা বলেন।

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, বে-টার্মিনাল প্রকল্পে একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনালটি নির্মাণ করবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বাকি দুটি টার্মিনাল বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) মাধ্যমে বরাদ্দ দেয়া হবে। এই প্রকল্পের জন্য গত বছরের অক্টোবর মাসে ৬৮ একর জমি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। ভূমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসনকে ৪শ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। বে-টার্মিনাল প্রকল্পের পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং চট্টগ্রাম বন্দরের অধীনে মাল্টিপারপাস টার্মিনালের বিস্তারিত প্রকৌশল নকশা, ড্রইং ও পরামর্শক সেবার জন্য কুনহোয়া ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনসাল্টিং কোম্পনি লিমিটেড-ডি ওয়াই ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি যৌথভাবে কাজ করছে। দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ প্রতিষ্ঠান প্রকল্পের মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের সাথে বে-টার্মিনাল নির্মাণ কাজের তদারকিও করবে।

তিনি বলেন, বে-টার্মিনাল প্রকল্পে একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণ করবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ টার্মিনালে জেটি থাকবে ছয়টি। তবে বে-টার্মিনালে মোট ১৩টি জেটি থাকবে। এ টার্মিনালে মাল্টিমোডাল কানেক্টিভিটি সুবিধা থাকবে। প্রকল্পের পূর্ব দিকে রয়েছে পোর্ট অ্যাকসেস রোড ও রেলপথ।

এম শাহজাহান বলেন, বে-টার্মিনাল চ্যানেলে কোন বাঁক নেই এবং গভীরতা ও নাব্যতা রয়েছে। তাই সেখানে ১০-১২ মিটার ড্রাফটের সর্বোচ্চ ৬ হাজার টিইইউজ বহনক্ষমতা সম্পন্ন জাহাজ বার্থিং করানো সম্ভব হবে।এখানে মোট তিনটি টার্মিনাল নির্মিত হবে।বে-টার্মিনালে একটি ১২শ ২৫ মিটার দীর্ঘ কন্টেইনার টার্মিনাল, একটি ৮৩০ মিটার দীর্ঘ কন্টেইনার টার্মিনাল ও একটি ১৫শ মিটার দীর্ঘ মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মিত হবে। এই তিন টার্মিনালের মোট দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৫৫ কিলোমিটার। বর্তমানে জোয়ারের সময় গড়ে চার ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের এবং সর্বোচ্চ ১৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ বন্দরের জেটিগুলোতে ভিড়তে পারে। তবে বে-টার্মিনালে রাত-দিন ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়তে পারবে।গত বছর দেশের প্রধান এই সমুর্দ্রবন্দর ৩০ লাখ টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছিল। বে-টার্মিনালের সক্ষমতা হবে প্রায় ৫০ লাখ টিইইউএস। প্রকল্পটির প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা।

এসময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, সিডিএ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিআইডব্লিউটিসি, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, শিপিং এজেন্ট ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

কেএস