কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলাধীন কাশিপুর ইউনিয়নের, কাশিপুর গ্রামের দিনমজুর হযরত আলীর মেয়ে রাবিয়া খাতুন (১৮) জন্ম থেকে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী। রাবিয়া খাতুনের মানবেতর জীবন এবং একটি হুইল চেয়ারের আকুতি শিরোনামে সংবাদটি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রচারিত হলে সেটি আমলে নেন হাছেন আলী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন। ফাউন্ডেশন`র প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল ইসলামের আবেদনের প্রেক্ষিতে রাবেয়ার জন্য একটি হুইল চেয়ার প্রদান করেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, আলহাজ্ব মাইনুল হোসেন খান নিখিল। ইতোমধ্যেই তিনি গরিব দুঃখী মানুষের পাশে থাকার কারণে সারা বাংলাদেশে মানবিক নেতা হিসেবে সুপরিচিতি লাভ করেছেন।
প্রতিবন্ধী রাবিয়া খাতুন একটি হুইল চেয়ার পাবার পর তার মা রনজিনা বেগম খুশিতে আত্মহারা হয়ে যান এবং তিনি যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নিখিলের জন্য কাঁদতে কাঁদতে দোয়া করেন। রনজিনা বেগমের ভাষায় আমার মেয়ের জন্য যাই হুইলচেয়ার দেইল আল্লাহ আপনি তার মনের বাসনা পূর্ণ করি দেন এবং তার বিপদ আপদ দূর করি দেন।
উল্লেখ্য, রাবিয়া খাতুনের বাবা হযরত আলীর নিজের জমি না থাকায় অন্যের দেয়া ৬ শতাংশ জমির উপর কোনভাবে ছোট-ছোট টিনের ঘর তুলে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে কোনমতেই দিন কাটাচ্ছিলেন।
দিনমজুর হওয়ায় যেদিন কাজ জোটে সেদিন খাবার জোটে, আর যেদিন কাজ জোটে না সেদিন অনাহারেই থাকতে হয় পরিবারের সকলকে। স্ত্রী রনজিনা বেগম স্বামীর কষ্ট দেখে মাঝে মাঝে অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোনভাবেই সংসার চালাচ্ছেন। এরই মধ্যে তাদের সংসারের জন্ম নেয় শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী রাবিয়া খাতুন। ছোটকালে রাবিয়া খাতুনকে কোলে নেওয়া ও বিভিন্ন জায়গায় আনা-নেয়া করা সহজ হলেও বয়স বাড়ার সাথে সাথে রাবিয়া খাতুন কে বহন করা পরিবারের লোকজনের পক্ষে কষ্টকর হয়ে পড়েছিল।
এসএম