ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় পাতিহাঁসের কালো ডিম পাড়ার চাঞ্চল্যের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার একই উপজেলায় ধূসর ডিমের সন্ধান মিলেছে।
বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে স্থানীয়দের মাঝে কৌতূহল দেখা দিয়েছে। কারণ দেশি হাঁসের এমন রঙের ডিম হওয়ার কথা না। বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত খোদ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরও।
উপজেলার পৌর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আকতারুল আলম সামু জানান, আমাদের বাড়িতে পালিত একটি হাঁস গত দু’দিন ধরে ধূসর রঙের ডিম পাড়া শুরু করেছে। এর আগে হাঁসটি স্বাভাবিক ডিম পেড়েছিল বলে জানা যায়।
হাঁসের মালিক জুলেখা আক্তার বলেন, আমি তিনটি হাঁস পালন করছি। প্রতিটি হাঁসের বয়স নয় মাস থেকে এক বছরের হবে। এরমধ্যে একটি হাঁস ডিম পাড়ে, অন্যগুলো এখনো পাড়া শুরু করেনি। তবে হাঁসটি প্রতিদিন ডিম দেয় না। ডিম দেওয়ার শুরু থেকেই সাদা রংয়ের ডিম দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ করে শুক্রবার থেকে ধূসর রঙের ডিম পাড়া শুরু করেছে।
চরফ্যাশন উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের উপসহকারী প্রাণী সম্পদ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. ইব্রাহিম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, কোনো রোগের লক্ষণ, জরায়ুর সমস্যা নাকি ক্রসের কারণে এমন ঘটনা ঘটছে তা এখনি বলা যাচ্ছে না। তবে এসব ডিম দ্রুত পরীক্ষাগারে পাঠিয়ে রহস্য উদঘাটন করা হবে।
তিনি বলেন, আমি এর আগে কালো বা ধূসর রঙের ডিম পাড়ার কথা শুনিনি। তবে জিংডিং জাতের একপ্রকার হাঁস রয়েছে যেটি হালকা নীল রঙের ডিম পেড়ে থাকে। এমন ধূসর রঙের ডিম পাড়ার কারণ পরীক্ষা না করে বলা মুশকিল। আমি এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মণ্ডল বলেন, ঠিক কী কারণে চরফ্যাশনের দুইটি হাঁস এমন ডিম পেড়েছে তা আমার জানা নেই। আমরা দুইটি হাঁসেরই স্যাম্পল কালেকশন করে পরীক্ষাগারে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট আসলে এর সঠিক কারণ জানা যাবে।
এর আগে, গত বুধ ও বৃহস্পতিবার পরপর দু’দিন কালো রঙের দুইটি ডিম পাড়ে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার জিন্নানগর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তাসলিমা বেগমের পালিত পাতিহাঁসটি। কিন্তু হঠাৎ করেই শুক্র ও শনিবার দু’দিন ধরে হাঁসটি আর ডিম পাড়ছে না।
এসএম