খুলনার আঠারোমাইল থেকে পাইকগাছা হয়ে কয়রা পর্যন্ত সড়কের ৩৪টি পয়েন্টে বাঁক সরলীকরণের কাজ চলছে। এর মধ্যে তালা সদরের পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনের বাঁকটিও সরলীকরণের আওতার মধ্যে। কিন্তু সম্প্রতি এই বাঁকটি সরলীকরণের ক্ষেত্রে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবী, তালা সদরের পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনের বাঁকটিও সরলীকরণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্ভেয়ার প্রথম একটি মাপ জরিপ করে সরলীকরণের সীমানা নির্ধারণ করে। এতে বাঁকটি সুন্দরভাবে সরলীকরণ সম্ভব হতো। কিন্তু হঠাৎ অদৃশ্য কোন এক শক্তির ইশারায় সার্ভেয়ার দ্বিতীয়বারের মত মাপ জরিপ করে নতুন সীমানা নির্ধারণ করে। এর ফলে সেই সরলীকরণ আর হবে না। মোড়টি আগের মত থেকে যাবে।
এ বিষয়ে তালা মহাল্লা পাড়ার বাসিন্দা খন্দকার মোয়াজ্জেম হোসেন রঞ্জু বলেন, বাঁক সরলীকরণের জন্য প্রথম মাপটি সঠিক ছিলো। ঐ সার্ভেয়ার দ্বিতীয়বার কার বুদ্ধিতে কার প্ররোচনায় মাপ দিলেন জানি না। কিন্তু এবার যা হয়েছে তাতে বাঁক বাঁকের মতই থেকে যাবে। সরকারের লক্ষ্য উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। বাঁকটি সঠিক নিয়মে সরলীকরণের জন্য যা যা করার তাই করবো।
এ বিষয়ে সাবেক বণিক সমিতির সভাপতি কাজী গাউছুল হক মারুফ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাঁকা রাস্তাকে আরো বাঁকা করার হটকারি সিদ্ধান্তকে মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখার জন্য অনুরোধ করছি।
খুলনা সড়ক ও জনপদ বিভাগের (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) সার্ভেয়ার মিজানুর রহমান জানান, একবারই মাপ হয়েছে। যারা বলছে ২ বার মাপ হয়েছে সেটা তাদের ভুল ধারণা। সরকারের যথাযথ নিয়ম মেনেই আমরা বাঁক সরলীকরণের কাজ করে যাচ্ছি।
এসএম