কানাডা চলে গেলেন মুহিবুল্লাহ পরিবারের আরও ১৪ সদস্য

কক্সবাজার প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২, ০৭:৩৭ পিএম

কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহর মাসহ তার দুই ভাইয়ের পরিবারের ১৪ সদস্য কানাডার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন।

সোমবার রাতে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রোহিঙ্গাদের নিহত নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহর মাসহ দুই ভাইয়ের পরিবারের ১৪ সদস্য কানাডার উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছেন।

এর আগে গত ৩১ মার্চ মুহিবুল্লাহর পরিবারের ১১ সদস্য কানাডার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন।

রোববার তারা ঢাকার উদ্দেশ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছাড়েন বলে জানান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ।

তিনি বলেন, “জাতিসংঘের শরনার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর- এর তত্ত্বাবধানে মুহিবুল্লাহ পরিবারের ১৪ সদস্যকে তাদের ব্যাটালিয়নের অধীনে ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।”

এপিবিএন জানিয়েছে, সোমবার গভীর রাতে পরিবারটির ১৪ সদস্যের দলটি কানাডার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন বলে জানা গেছে।

এই ১৪ সদস্যের মধ্যে রয়েছেন, নিহত মুহিবুল্লাহর মা উম্মা ফজল (৬০) এবং তার দুই ভাই হাবিব উল্লাহ এবং আহমাদ উল্লাহর স্ত্রী ও সন্তানেরা।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর ব্যবস্থাপনাকারি সরকারি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সোমবার রাতে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রোহিঙ্গাদের নিহত নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহর মাসহ দুই ভাইয়ের পরিবারের ১৪ সদস্য কানাডার উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছে। 

গতবছর ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে কুতুপালং-১ (ইস্ট) লম্বাশিয়া ক্যাম্পের ডি-৮ ব্লকে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস এন্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ। মিয়ানমারের মংডুতে স্কুলে শিক্ষকতা করতেন বলে রোহিঙ্গাদের কাছে তিনি ‘মুহিবুল্লাহ মাস্টার’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই মুহিবুল্লাহর স্বজন ও অনুসারীরা হন্যে হয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছাড়ার চেষ্টা করছিলেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন তারা।

গত বছরের অক্টোবরে মুহিবুল্লাহর ভাগ্নে ও আরএসপিএইচআর এর ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রশিদুল্লাহ বলেছিলেন, “মুহিবুল্লাহর স্ত্রী, সন্তান, মা, ভাইসহ স্বজনদের ১৮টি পরিবারের সদস্যরা কুতুপালং ক্যাম্পে নিরাপদ মনে করছেন না। এসব পরিবারের ৯৪ জন সদস্যকে বর্তমানে ক্যাম্পের বাইরে অজ্ঞাত নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। তবে তারা সেখানে থাকতেও রাজি নয়।

বাংলাদেশের বাইরে তৃতীয় কোনো দেশে যাওয়ার কথা বলেছিলেন রশিদুল্লাহ। তিনি জানিয়েছেন, তাদের এই ইচ্ছার কথা জাতিসংঘের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারসহ জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থায় তারা জানিয়েছেন।

এরপর গত মার্চে মহিবুল্লাহর স্ত্রী নাসিমা খাতুন, নয় ছেলেমেয়ে এবং এক মেয়ের জামাইসহ ১১ জন ইউএনএইচসিআরের তত্ত্বাবধানে কানাডায় পাড়ি দেন।

এসএম