নাটোরের গুরুদাসপুরে নাজিরপুর মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তার এক ছাত্রীকে অপহরণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন।
শনিবার রাত ১১টার দিকে গুরুদাসপুর থানায় এ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর মা।
মামলার নথি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় অপহৃত ছাত্রীর মাকে ধর্ম আত্মীয় বানিয়ে তাদের বাড়িতে যাতায়াত করতো নাজিরপুর মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহমেদ (৪৮)। তিনি নাজিরপুর গ্রামের মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ইতিপূর্বেও ঐ শিক্ষক একাধিক ছাত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করে আসছিলেন। আজ এসএসসি ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষে ধর্ম আত্মীয় ভাগ্নিকে জোরপূর্বক মাইক্রো কারে উঠিয়ে নিয়ে তার রাজশাহীর বাসায় অবস্থান করে ওই প্রধান শিক্ষক।
ওই ঘটনায় মেয়ের মা বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন। মেয়ে বাসায় না ফেরায় বাবা-মা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে তার এক আত্মীয় তাকে জানান শনিবার দুপুরের দিকে প্রধান শিক্ষক এবং তার ভাই সহ একটি মাইক্রোবাসে করে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে রাজশাহীর এলাকায় লুকিয়ে রেখেছেন তার মেয়েকে।
পরে প্রধান শিক্ষকের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার পরিবার তার মেয়েকে ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু তার মেয়েকে ফিরিয়ে না দিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। এ সময় রাত দশটার দিকে তার মেয়েকে ফেরত দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তারা গুরুদাসপুর থানা এসে অপহরণ মামলা করেন ওই প্রধান শিক্ষক ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহমেদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বারবার মোবাইল ফোন কেটে দেন।
নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী বলেন, অতীতেও ফিরোজের বিরুদ্ধে এ ধরনের অনেক অভিযোগ উঠেছে। একজন নাবালীকা স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে আটকিয়ে রাখা, অনেক বড় ধরনের অপরাধ। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ন্যায় বিচার চাচ্ছি।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. আব্দুল মতিন জানান এ ব্যাপারে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে একটি অপহরণ মামলা করেছেন। আমরা চেষ্টা করছি তাকে শীঘ্রই খুঁজে বের আইনের আওতায় নিয়ে আসার।
এসএম