ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের ছাগল চুরি করে পালানোর সময় এক যুবলীগ নেতাসহ দুইজনকে গণধোলাই দিয়েছেন স্থানীয়রা।
রোববার (২ অক্টোবর) দুপুরে পার্শ্ববর্তী রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে যুবলীগ নেতাসহ দুইজনকে গণপিটুনি দেওয়ার একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ওই যুবলীগ নেতার নাম হাবীবুল্লাহ হাবীব। তিনি নিজেকে পীরগঞ্জ পৌর আওয়ামী যুবলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছিলেন। হাবীব পৌর শহরের গুয়াগাও মহল্লার জবাইদুরের ছেলে বলে জানা গেছে।
অন্যজনের নাম মিরাজুল ইসলাম। তিনি পীরগঞ্জ উপজেলার তাজপুর গ্রামের মোহাম্মদ কোম্পানির ছেলে। তারা উভয়ে সদর উপজেলার মহেশপুর গ্রামের একটি আমবাগান থেকে ছাগল চুরি করে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতার হাতে ধরা পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী সলেমান আলী বলেন, নেকমরদ বাজারে তাদের গণপিটুনি দেওয়ার সময় আমিও কাছে যাই। তাদের জিজ্ঞেস করা হলে তারা বলেন, পিকনিকের জন্য ছাগল চুরি করেছেন। আমি অবাক হয়েছি। আবার নিজেকে আওয়ামী লীগের নেতা নিজেকে দাবি করছেন।
ছাগল মালিকের মেয়ে সুমাইয়া জানায়, মহেশপুরের একটি আমবাগান থেকে তাদের একটি খাসি ছাগল মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল ওই দুই যুবক। এ সময় প্রতিবেশী এক ভাইসহ তিনি মোটরসাইকেলে করে পেছন থেকে তাদের ধাওয়া করেন। নেকমরদ বাজার এলাকায় স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের ধরে ফেলেন। এ সময় জনতা তাদের গণপিটুনি দেয়।
এ বিষয়ে হাবিবুল্লাহ হাবীবের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
পীরগঞ্জ পৌর আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল বাবু বলেন, হাবীব ধর্মবিষয়ক সম্পাদক নয়। সাধারণ সদস্য। তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
কেএস