মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণে আগাম বলেছিলেন তোমাদের কাছে যাহা কিছু আছে, তাহাই নিয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। সুতারাং মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা নিয়ে কেউ রাজনীতি করার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু পশ্চিম পাকিস্তানীদের বৈষাম্য মেনে নিতে পারতেন না। ছয় দফা উপস্থাপনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের রূপরেখা দিয়েছিলেন। ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ গঠন করে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করেন বঙ্গবন্ধু।
রাউজানের উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, একসময় সন্ত্রাসের রাউজান হিসাবে পরিচিত ছিল এ উপজেলা। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ফজলে করিম চৌধুরীর মতো যোগ্য নেতার নেতৃত্বে অভূতপূর্ণ উন্নয়ন হয়েছে। তিনি ১১ অক্টোবর মঙ্গলবার রাউজান উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাউজানের সাংসদ এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুস সামাদ সিকদারের সভাপতিত্বে ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা লিকসন চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযুদ্ধা কাজী আব্দুল ওহাব, রাউজান পৌর মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, সিনিয়র সহ-সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নূর মোহাম্মদ, রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল্লাহ আল হারুন, মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ খান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কফিল উদ্দিন চৌধুরী।
এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধারা, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক রাউজানের সংসদকে নিয়ে বিল্পবী মাস্টার দা সূর্য্যসেন পাঠাগার পরিদর্শন করে মহান এই বিল্পবীর অবক্ষয় মূর্তিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে উপজেলা ডাকবাংলো চত্তরে একটি ফলজে গাছের চারা রোপন করেন এবং রাউজান মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স ভবন পরিদর্শন করে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
কেএস