অস্ত্রসহ হত্যা ও ডাকাতির ৩ পরিকল্পনাকারী আটক

শুভ কুমার ঘোষ, সিরাজগঞ্জ প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২২, ০৩:০৬ পিএম

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থেকে হত্যা ও ডাকাতির পরিকল্পনায় জড়িত তিন ডাকাতকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় আটকৃতদের দেয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে একটি বিদেশী রিভলবার, একটি ওয়ানশুটারগান, তিন রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় হত্যার আগেই একটি মানুষের জীবন বাঁচাতে সক্ষম হয়েছে জেলা পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যাালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রেস কনফারেন্সে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।

আটককৃতরা হলো- ডাকাত সর্দার জেলার বেলকুচি উপজেলার জিধুরি গ্রামের মন্তাজ আলী, ডাকাতদলের সদস্য একই গ্রামের আলী হাসান ও লিখন।

প্রেস কনফারেন্সে পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল বলেন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন, আব্দুল ওয়াদুদ ও সহকারি উপ-পরিদর্শক মিন্টু সেখ নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে সোমবার বিকেলে জেলার বেলকুচি উপজেলার সমেশপুরে একটি রেস্টুরেন্টে মাদকবিরোধী অভিযান চালাতে গিয়ে মন্তাজ আলী, আলী হাসান ও লিখনকে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা একটি হত্যাকান্ড ও একটি ডাকাতি পরিচালনার পরিকল্পনা করছিল বলে জানায়।

পুলিশ সুপার আরো বলেন, পরিকল্পনার বিষয়টি জানার পর অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদে তারা এই দুটি কাজে ব্যাবহার করতে যাওয়া অস্ত্রের বিষয়ে তথ্য দেন। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি বিদেশী রিভলবার, একটি ওয়ানশুটারগান, তিন রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে বেলকুচি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তিনি বলেন, তারা ভাড়ায় একজনকে হত্যা করার জন্য চুক্তি নিয়েছিলেন। এর জন্য নির্দিষ্ট পরিমানের টাকা পেতেন। এ ছাড়াও একটি বিকাশের দোকানে ডাকাতি করে সেখান থেকে তিন লক্ষ টাকা লুট করার কথা ছিল। যিনি এদেরকে হত্যা করার জন্য ভাড়া করেছিলেন তাকে ধরার চেষ্টা চলছে। তদন্তের স্বার্থে তার ও যাকে হত্যার কথা ছিল তার নাম পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে না। তবে এ ঘটনায় আমরা আগেই একটি জীবন বাঁচাতে সক্ষম হলাম।

প্রেস কনফারেন্সে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুর ই আলম সিদ্দিকী, মো: সামিউল আলম, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক জাকারিয়া হোসেন, সিরাজগঞ্জ সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক হুমায়ন কবির, বেলকুচি থানা পুলিশের পরিদর্শক তাজমিলুর রহমান ও জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

কেএস