নেত্রকোনার বারহাট্টায় পাওয়া টাকা চাওয়ায় মোছা. কামরুন নাহার (৪৫) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রবিবেশী দেনাদারদের বিরুদ্ধে। মারধরে ওই গৃহবধূর একটি হাত ভেঙে গেছে বলে জানা গেছে। পরে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফুল হক বুধবার বিকেলে আজকের পত্রিকাকে অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চত করেছেন। এরআগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বারহাট্টা থানায় লিখিত অভিযোগটি করা হয়।
অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার তেলিকুড়ি গ্রামের মো. খোকন মিয়া (৫০), তার ছেলে মো. রনি মিয়া (৩০) ও মো. জনি মিয়া (২৭)।
ভুক্তভোগী মোছা. কামরুন নাহার উপজেলার তেলিকুড়ি গ্রামের মো. খলিলুর রহমানের আকন্দের স্ত্রী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার দুপুরে পাওনা টাকা চাইতে গেলে প্রতিবেশী খোকন মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরে তার নির্দেশে তার দুই ছেলে কামরুন নাহারকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে। পরে এলাকবাসী এসে কামরুন নাহারকে উদ্ধার করে প্রথমে মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান কর্তব্যরত চিকিৎসক।
গৃহবধূ কামরুন নাহারের ভাই শাহীন আকন্দ জানান, খুবই নির্দয়ভাবে আমার বোনকে পিঠিয়ে জখম করেছে। তার একটি হাত ভেঙে গেছে। হাতে রামদার কোপও লেগেছে। বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে নাহার। এ ঘটনায় তার স্বামী বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।
যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের অভিযুক্তদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফুল হক বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেএস