ওসমানীনগর ট্রাজেডি

আড়াই মাস পর প্রবাসী পরিবারের আরেকজনের মৃত্যু

সিলেট ব্যুরো প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২২, ০৪:৫৮ পিএম

সিলেটের ওসমানীনগরে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার হওয়া প্রবাসী রফিকুল ইসলামসহ পরিবারের ৩ সদস্য মারা যাওয়ার পর আড়াই মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন তার স্ত্রী হুসনে আরা বেগম (৪৫)।

বুধবার (১৯ অক্টোবর) ভোরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এর আগে গত ২৫ জুলাই অচেতন অবস্থায় ৫ প্রবাসীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ব্রিটিশ নাগরিক রফিকুল ইসলাম ও তার ছোট ছেলে মাইকুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাতালের চিকিৎসক। একইসঙ্গে স্ত্রী হুসনে আরা বেগম, বড় ছেলে সাদিককুল ইসলাম ও একমাত্র মেয়ে সামিরা ইসলামকে হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগে ভর্তি করা হয়। ঘটনার ১১ দিন পর হাসপাতালের আইসিইউতে সামিরা ইসলাম মারা যায়। প্রায় ৩ মাস পর সামিরার মা হুসনে আরা বেগমও চলে মারা গেলেন। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ভাই গোলাম মোস্তফা।

ঘটনার পর সিলেট জেলা পুলিশের তৎকালীন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন প্রেস ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের জানান, পুলিশের ধারনা, ঘটনার রাতে দীর্ঘসময় জেনারেটর চালু থাকায় শ্বাস প্রশ্বাস নিতে না পেরে দমবন্ধ হয়ে যুক্তরাজ্য প্রবাসী রফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে মাইকুল ইসলাম মারা যান। অচেতন হয়ে পড়েন স্ত্রী ও অপর এক ছেলে সাদিকুল ইসলাম ও একমাত্র মেয়ে সামিরা ইসলাম। জেনারেটরের ধোঁয়ায় কী ধরণের বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে তা নিশ্চিতে ফায়ার সার্ভিসের কাছে আলামত এছাড়া ওই রাতে গ্রহণ করা খাবারের রাসায়নিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়।

গত ৩ আগস্ট হুসনে আরা ও সাদিকুল ইসলামের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হলেও মা-ছেলে পুনরায় তাজপুরের ভাড়া বাসায় উঠেন। পরে হুসনে আরা বেগমের পুনরায় অসুস্থ হলে তাকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

কেএস