কেন্দুয়ায় চোখের ড্রপ ও কালো চশমার সংকট দেখা দিয়েছে। নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে অতি ছোঁয়াচে কনজাংটিভাইটিস বা চোখের প্রদাহ যা স্থানীয় ভাবে চোখ ওঠা নামে পরিচিত। রোগটি মুলত ভাইরাস জনিত কারণে হয়ে থাকে। গত এক সপ্তাহে এ রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নের শত শত নারী-পুরুষ ও শিশুরা এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রতিদিনই চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে।
এদিকে উপজেলা সদর সহ বিভিন্ন বাজারের ফর্মেসিগুলোতে চোখের ড্রপ ও কালো চশমার সংকট দেখা দিয়েছে। এতে করে চাহিদা মতো ড্রপ এবং কালো চশমা না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে রোগীরা। কিছু দোকানে পাওয়া গেলেও নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করছে।।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার প্রায় প্রত্যেক গ্রামেই চোখ ওঠা রোগ হানা দিয়েছে। প্রতিদিনই সরকারি হাসপাতাল, গ্রাম্য চিকিৎসক ও চক্ষু বিশেষজ্ঞদের কাছে প্রচুর চোখ ওঠা রোগীরা ভিড় করছেন। বাড়ির একজন সদস্য আক্রান্ত হলে পরিবারের প্রায় সব সদস্যই এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এ রোগে আক্রান্ত শিশুরা ৪-৫ দিনের মধ্যে ভালো হলেও বড়দের ক্ষেত্রে ৮ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত সময় লেগে যাচ্ছে।
কেন্দুয়া আধুনিক চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক হাফিজুর রহমান লিটন এবং শোকরানা ফার্মেসীর মালিক কামরুজ্জামান জুমান বলেন চোখ উঠা রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়াতে বাজারে চোখের ড্রপ এবং কালো চশমার তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে, প্রায় ১০ দিন যাবত কোন কোম্পানি ড্রপ সাপ্লাই দিচ্ছে না,ফলে জনগণের ভোগান্তি বাড়ছে।
কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ককমপ্লেক্সে দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাঃ মাহফুজুর রহমান জয় বলেন বর্তমানে আগের চেয়ে চোখ ওঠা রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়াতে হাসপাতালে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। গত এক সপ্তাহে হাসপাতালে প্রায় ৩ শতাধিকের বেশি রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে পুরুষ এবং শিশু রোগীর সংখ্যাই বেশি।
তিনি বলেন, আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা নেওয়ার পাশাপাশি চোখ পরিষ্কার রাখা এবং সূর্যালোকে কালো রঙের চশমা ব্যবহারের পরামর্শসহ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হচ্ছে। এছাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমানে চোখের ড্রপের কোন সংকট নাই তবে চোখের রোগীর সংখ্যা যে ভাবে বাড়ছে তাতে এন্টিবায়োটিক ড্রপের স্টক বেশি দিন থাকবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কেএস