চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার ফুলবাড়ী সীমান্ত থেকে ১৩ টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে বিজিবি। জব্দকৃত স্বর্ণের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৮ লাখ ৮ হাজার ৪০০ টাকা। স্বর্ণগুলো ভারতে পাচার করার চেষ্টা করা হচ্ছিল বলে জানিয়েছে বিজিবি। এসময় বিজিবির ধাওয়ায় পাচারকারী পালিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বিকেল ৩ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবির পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ মো. ইশতিয়াক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০ টার দিকে জেলার ফুলবাড়ী সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে স্বর্ণ চোরাচালান হচ্ছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে ফুলবাড়ী বিওপির নায়েব সুবেদার দুলাল হক এবং ব্যাটালিয়ন বিআইপি সদস্য সিপাহী নয়ন ইসলামের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহল দল সীমান্ত পিলার ৮৪/১১৩-টি হতে ৬০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বুইচিতলা গ্রামের একস্থানে ওত পেতে থাকে।
বিজিবির টহলদল তাকে চ্যালেঞ্জ করলে সে মোটরসাইকেলটি ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে বিজিবি সশস্ত্র টহলদল দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে একটি দল চোরাকারবারীকে ধাওয়া করলে সে তার পায়ের জুতা ফেলে দৌড়ে বুইচিতলা গ্রামের মধ্য দিয়ে পালিয়ে যায়। অপর দলটি ফেলে যাওয়া জুতা ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করে।
ফেলে যাওয়া মোটরসাইকেলটি তল্লাশি করে কিছু না পাওয়া গেলেও পায়ের জুতাটি মাত্রাতিরিক্ত ওজন হওয়ায় টহল দলের সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে জুতাটি কেটে ফেলা হলে জুতার মধ্যে অভিনব কায়দায় লুকায়িত অবস্থায় কালো কচটেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় চারটি প্যাকেট হতে ০১ কেজি ৫১৫.৮৫ গ্রাম ওজনের ১৩টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে।
স্বর্ণের বারগুলোর বাজার মূল্য ১ কোটি ৮ লাখ ৮ হাজার ৪০০ টাকা। পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তি জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ফুলবাড়ী গ্রামের আজমল হোসেনের ছেলে মিকাইল হোসেন (৩০)।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ মো. ইশতিয়াক বলেন, বাংলাদেশ হতে ভারতে পাচারের সময় স্বর্ণগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তি বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মামলার প্রক্রিয়াধীন।
এসএম