কাশিমপুরে মাদ্রাসার প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

কাশিমপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২২, ০৩:০৫ পিএম

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কাশিমপুরে “রমজান আলী দারুল উলুম কিন্ডার গার্ডেন  মাদ্রাসার” প্রিন্সিপাল সাইফুল পাঠানের বিরুদ্ধে সারদাগঞ্জ মধ্যপাড়া এলাকায় এক নারীকে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, লাভলী আক্তার (৪০) নামে স্বামী পরিত্যাক্তা এক নারী গত এক বছর ধরে মাওলানা সাইফুল ইসলাম পাঠানের টিনসেট বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে পার্শ্ববর্তী জি.এম.এস নামক পোশাক কারখানায় অপারেটর হিসেবে চাকরি করে আসছিলেন। সেই সুবাদে ভিকটিম ভাড়াটিয়া লাভলীর সাথে বাড়িওয়ালা মাওলানা সাইফুল ইসলামের পাঠানের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

এছাড়াও এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ ব্যাপারে ভিকটিম লাভলী আক্তার জানান, গত রমজান ঈদের পর হতে বাড়িওয়ালার সাথে একাধিকবার শারীরিক মিলনের পর ১মাস ১৫ দিনের গর্বভর্তী হয়ে পরেন।

এ বিষয়টি এলাকায় জানাজানি এড়াতে গত ১৯ অক্টোবর রাত আনুমানিক ১০ ঘটিকার পরে ভিকটিমকে সাইফুল ইসলাম পাঠানের বাড়িতে লিপি বেগম তার বোনসহ আরও চার পাঁচজন ব্যাক্তির সহযোগিতায় জোরপূর্বক ঔষধ সেবন ও শারীরিক নির্যাতন চালায়। বাড়িতে অবস্থানরত অন্য এক ভাড়াটিয়া ভিকটিমকে বাঁচাতে ৯৯৯ লাইনে ফোন দেয়। উক্ত ঘটনার খবর পেয়ে কাশিমপুর থানার উপ পরিদর্শক নাহিদ আল রেজা সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

এ ব্যাপারে ভূক্তভূগী লাভলী আক্তার কাশিমপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে সাইফুল পাঠানের মোবাইলে একাধিক যোগাযোগ করা হলেও বন্ধ থাকায় ব্যক্তব নেওয়া সম্ভব হয়নি। সাইফুল পাঠান গাজীপুরের কাশিমপুরে সারদাগঞ্জ এলাকার নাসির উদ্দীন পাঠানের ছেলে।

এ বিষয়ে কাশিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ রাফিউল করিম বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি, অতি দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কেএস