ফরিদপুরের সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের দিরাজতুল্লা মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামে অবস্থিত একটি এগ্রো ফার্ম থেকে শান্তা ইসলাম (২৩) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে ওই গৃহবধূর স্বামী বাচ্চু শেখ (৪২) পলাতক রয়েছেন।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর সদরের অম্বিকাপুর ইউনিয়নের দিরাজতুল্লা-মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার এগ্রো ফার্মের শ্রমিকদের আবাসিক কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে কোতয়ালী পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তাদের দু’জনের বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায়। শান্তা ইসলাম ও বাচ্চু শেখ ওই ফার্মে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শান্তা ছিলেন শ্রমিক এবং বাচ্চু শেখ সুপারভাইজারের কাজ করতেন। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই ফার্মের অন্যান্য শ্রমিকরা আবাসিক কক্ষে শান্তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে ফার্মের মালিক ইদ্রিস মিয়াকে জানান। পরে ফার্মের মালিক ইদ্রিস মিয়া ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় খবর দিলে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজন বিশ্বাস জানান, ধারণা করা হচ্ছে শান্তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার পর স্বামী বাচ্চু শেখ পলাতক থাকায় তিনিই এ ঘটনা ঘটাতে পারেন বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, অন্যান্য শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে পরকীয়ার জেরে বাচ্চু ও শান্তার মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে পারিবারিক বিবাধ চলে আসছিল।
এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, মৃতদেহটি উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
কেএস