মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল বন্ধ করার দাবি জানিয়ে বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় মহাসমাবেশের একদিন আগে নাটকীয় ভাবে বাস ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপ।
তবে ধর্মঘটের এই ঘোষণা প্রসঙ্গে বিএনপি নেতারা বলছেন, বিভাগীয় মহাসমাবেশ বানচাল করতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। যাতে বিএনপি বরিশালে কোন সমাবেশ করতে না পারে তাই। তবে বিষয়টি নিয়ে বিএনপির নেতাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে নানা ধরনের প্রশ্ন।
এদিকে বরিশালের বাস মালিক নেতাদের দাবি, বিএনপির সমাবেশের কথা জানেন না তারা। জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও অবৈধভাবে এসব যানবাহন চলছে মহাসড়কে। পদ্মা সেতু চালুর পর ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে দূরপাল্লার বাসের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় থ্রি-হুইলারের কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। যাত্রী সাধারণের নির্বিঘ্নে ও নিরাপদ যাতায়াতের লক্ষ্যে ৩ নভেম্বরের মধ্যে থ্রি-হুইলার চলাচল বন্ধ না করা হলে ৪ ও ৫ নভেম্বর বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ থেকে আঞ্চলিক ও দূরপাল্লার সকল ধরনের বাস-মিনিবাস চলাচল বন্ধ থাকবে।
বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের পক্ষ থেকে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে এ বিষয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। স্মারকলিপিতেও ধর্মঘটের কথা জানানো হয়েছে।
কিশোর আরও বলেন, বিএনপি কি সমাবেশ করছে বা কবে করছে সেটা আমরা কিছুই জানি না। থ্রি-হুইলার বন্ধের দাবি ও বাস ধর্মঘটের বিষয়টি নিয়ে আরও সাতদিন আগে থেকে মিটিং চলছে। আমাদের সিদ্ধান্তের সাথে বিএনপির সমাবেশের কোনো সম্পর্ক নেই।
মহাসমাবেশের একদিন আগে বাস বন্ধের বিষয়ে বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় গণসমাবেশ কীভাবে বানচাল করা যায়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে সবদিক থেকে। কেন তাদের ৪ ও ৫ নভেম্বর বাস বন্ধ রাখতে হবে? ৫ নভেম্বর বিএনপির সমাবেশে যাতে কেউ আসতে না পারে, সেজন্যেই এসব ষড়যন্ত্র।
কেএস