খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার গুইমারা থানার আঙ্গিনায় পতিত জায়গায় শুধু প্রাকৃতিক জৈব সার ব্যবহার করে বিষমুক্ত সবজি বাগান করে চমকে দিলেন গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ রশিদ। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিজের হাতে সবজি বাগান পরিচর্চা করে প্রশংসিত হচ্ছেন তিনি।
ফরমালিন মুক্ত সবজির চাহিদা মেটাতে পতিত জমিতে ৩৫ প্রজাতির ফলজ গাছ ও সবজি চাষে পাল্টে গেছে থানা কম্পাউন্ডের দৃশ্যপট। পাহাড়ী বন-জঙলে মোড়ানো প্রায় পাঁচ একর জায়গা যেন সবুজের বিশাল সমারোহ। চিরচেনা এ সবুজ দৃশ্য থানায় সেবা নিতে আসা মানুষের নজর কেড়েছে।
৩৫ প্রজাতির ফলজ গাছের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রয়েছে বারি মাল্টা, বিদেশী বল সুন্দরী বরই, কাশ্মীরী বরই আপেল কূল বরই, নাসপাতি, সফেদা,লটকন মিয়াজাকি, কিউজাই, কিংচাকাপাত, পালমার, থাই বানানা, ব্রুনাই কিং, ব্লকস্টোন, সুপারিগাছ, সূর্যমূখী কলা গাছ, সাগরকলা গাছ সরবী কলা গাছ সহ আরো অনেক ফলজ গাছ।
থানার সীমানা প্রাচীরের পাশে সারি সারি ভাবে রোপন করা হয়েছে সুপারি গাছ যা থানার নান্দনিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে।
প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা ও আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন মহোদয়ের নির্দেশনায় এবং খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো: নাইমুল হক মহোদয়ের নির্দেশনা মতে বাড়ির আঙ্গিণায় সহ পতিত জায়গা খালি না রেখে সবজি চাষ করার আহ্বানে গুইমারা থানার ওসি মুহাম্মদ রশিদ থানার পতিত জমিতে শীতকালীন সবজি চাষের এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান।
গুইমারা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ রশিদ স্যার এখানে চলতি বছরের জুলাই মাসে যোগদানের পর থানা এলাকার চারদিকে ঝোপ জঙ্গল ছিল ওসি স্যারের আন্তরিকতায় ঝোপ জঙ্গল পরিস্কার করে থানা কমপাউন্ডের সামনে সবজি চাষ ও মিশ্রয় ফলজ গাছের চারা রোপনে বদলে গেছে গুইমারা থানার দৃশ্যপট।
গুইমারা থানার পুলিশ কনস্টেবল মো. আতিকুর রহমান বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় থানা কম্পাউন্ডে সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে ডিউটির ফাঁকে ফাঁকে অবসর সময়ে সবজি বাগান ও ফলজ বাগানে সকালে ও বিকেলে আমরা সকলে উৎসাহ নিয়েই কাজ করি।
গুইমারা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শাহেদা আক্তার বলেন, সবজি বাগানের সামনে দাঁ
থানা আঙ্গিনায় সবজি চাষ সর্ম্পকে জানতে চাইলে গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ রশিদ বলেন, এ বছরের জুলাই মাসের মাঝামাঝি এ থানায় যোগদানের এক মাস না যেতেই থানার চার দিকে ঝোপ জঙ্গল ছিল জঙ্গল পরিস্কার করে থানার আঙিনায় ফাঁকা জায়গায় সবজি উৎপাদনের চিন্তা মাথায় আসে। সে চিন্তা থেকেই সবজি চাষ শুরু করেছি। এবং সাফল্যও পেয়েছি। নিজের হাতে সুজন করা সবজি দিয়ে এ থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের ৫০ শতাংশ চাহিদা পূরণ হচ্ছে বলে তিনি আরো জানান আগামী একমাসের মধ্যে থানার সবজির চাহিদা শতভাগ পূরণ হবে বলে জানান তিনি।
কেএস