মেয়ের প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে গত রোববার দিবাগত রাতে জাহাঙ্গীর হোসেন (৫০) নামে একজন ব্যক্তি খুন হয়। এই ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে একটি মহল উঠে পড়ে লাগে। সবশেষে বিকল হয়ে গেল এই চক্রটির সকল পরিকল্পনা।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) দুপুরে জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে আমজাদ মিয়া বাদী হয়ে তিনজনকে আসামী করে শাল্লা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
আসামিরা হলেন, মুতলিব মিয়া (৫৫), মুতাব্বির মিয়া (২২) ও আব্দুল মালেক (৩৫)। অভিযোগে উল্লেখ করা, মুতলিব মিয়ার ছেলে মুতাব্বিরের সাথে নিহত জাহাঙ্গীর হোসেনের মেয়ের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে মুতলিব মিয়ার ছেলেকে অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক করার কথা জানতে পারলে জাহাঙ্গীর হোসেনের মেয়ে বিয়ের দাবিতে মুতলিবের বাড়িতে অবস্থান করে। এই খবর পেয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন মুতলিব মিয়ার বাড়িতে গেলে মুতাব্বির, মুতলিব ও আব্দুল মালেকসহ তাদের আত্মীয় স্বজন মিলে জাহাঙ্গীর হোসেনকে মারধর করে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে পেলেন। পরে মেয়েকে জিম্মি করে মিথ্যা স্বাক্ষী দিয়ে বিষয়টি ভিন্নখাতে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল মুতলিব মিয়ার লোকজন।
জাহাঙ্গীর হোসেনের মেয়ে সোমা আক্তার জানান, আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মিথ্যা স্বাক্ষী দেওয়ার চেষ্টা করেছিল মোতলিব মিয়া। যদি আমি মিথ্যা স্বাক্ষী না দেই তাহলে বাবার মত আমার ভাইকেও মেরে ফেলা হবে বলে আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়েছে।
নিহত জাহাঙ্গীরের ছেলে আমজাদ মিয়া জানান, আমার বাবাকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ নিয়ে যাওয়ায় অভিযোগ দিতে দেরি হয়েছে। তাই গতকাল মঙ্গলবার থানায় অভিযোগ করেছি। এখন ওসি সাবই জানেন কি করবেন।
শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান অভিযোগ পেয়েছি। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কেএস