মৌলভীবাজারের বড়লেখার দেওছড়া থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করার অভিযোগে নিরঅপরাধী ৩ ব্যাক্তির বিরুদ্ধে ইনফোর্সমেন্ট মৌলভীবাজার জেলা অফিস কতৃক পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেটের পরিচালক এমরান হোসেনের সাক্ষরিত নোটিশ তাদের দেওয়া হয়েছে। আগামী ১০ নভেম্বর পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তার জবাব দেওয়ার জন্য নোটিশে বলা হয়েছে। নিরঅপরাধী ইউপি সদস্য সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে নোটিশ দেওয়ায় এলাকার জনপ্রতিনিধি সহ সচেতন মহলের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে নিরঅপরাধী লোকজনকে অভিযোগ থেকে বাদ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানান।
২ নভেম্বর বিকেলে জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মহলের লোকজন মিলিত হয়ে প্রতিবাদ করেন তারা প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। এছাড়া তারা তাদের বক্তব্যে নিরপরাধী লোকজনদের এ অভিযোগ থেকে অব্যাহতির দেওয়ার দাবি জানান।
জানা যায়, পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেটের পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন সাক্ষরিত এ নোটিশ পান ২ নভেম্বর বড়লেখার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়ন ১ ইউপি সদস্য সহ ৫ জনকে দেওছড়া থেকে অবৈধভাবে বালি তোলার অভিযোগে নোটিশ প্রদান করা হয়। ৫ জনের মধ্যে ৩ জন নিরপরাধী লোকজনকে জড়িয়ে নোটিশ দেওয়া হয়। তারা হচ্ছেন দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনিস আহমদ মোঃ আব্দুল খালিক,জামাল উদ্দিন।
তাদেরকে এ অভিযোগ থেকে বাদ দেওয়া জোর দাবি করেছেন। দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজুর রহমান টগন, ইউপি সদস্য আব্দুল আজিজ লোলাই, ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ বলাই, এলাকাবাসীর পক্ষে সমাজ সেবক আব্দুল কুদ্দুস স্বপন, মোঃ সবু মিয়া, সিরাই মিয়া, ফারুক আহমদ ফারই, জায়দুল ইসলাম,আব্দুস শুক্কুর, মামুন আহমদসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।
এলাকায় গেলে অনেকে জানান বালিশকোনা গ্রামের হাজী সফুর উদ্দিন প্রভাব খাটিয়ে দেওছড়া থেকে দীর্ঘ দিন থেকে অবৈধ ভাবে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দেওছড়া থেকে বালি তোলেন এবং তিনি ২ টি ট্রাক্টর দিয়ে বালি বিভিন্ন স্থানে পাচার করেন। এছাড়া হাজী সফুর উদ্দিন সফুরের সাথে জনৈক এক ব্যাক্তি ধরাছোয়ার বাহিরে রয়েছেন বলে জানা যায়।
কেএস