গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর বজ্রপাতে নিহত পরিবার গুলোর মাঝে লাশ চুরির আতঙ্ক কাটেনি। রাতে কবরের লাশ চুরি হতে পারে সে জন্য কবরের পাশে বসানো হয়েছে পলিথিনে ছাউনি দিয়ে খাট, চকি। রাতভর জ্বালিয়ে রাখা হচ্ছে বিদ্যুৎ ও হ্যারিকেনের আলো।রাত জেগে পালাক্রমে দেয়া হচ্ছে কবর পাহারা।
আমাদের সমাজে একটি কুসংস্কার বিদ্যমান রয়েছে, বজ্রপাতে নিহত প্রাণীর শরীরের হাড় কবিরাজি (ঝার ফুকের ক্ষেত্রে) খুবই কার্যকরী। যার কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি না থাকলেও হাটে বাজারে রঙ্গে ঢঙ্গে ফকির নামে কিছু লোক বিভিন্ন হাড় ব্যবহার করে। তারা এর বিভিন্ন উপকারী দিক তুলে ধরে জনগণকে আকৃষ্ট করে।
এ ধরণের কবিরাজ ও ফকিররা এসকল লাশ গভীররাতে কবর থেকে চুরি করে থাকে।তাই বজ্রপাত নিহতদের লাশ চুরি ঠেকাতে কবর দেয়ার পর থেকেই পাহারা বসিয়েছে পরিবারগুলো। ইতিমধ্যেই ইদিলপুর ইউনিয়নের কাবিলপুর সোনাতলা গ্রামের বজ্রপাতে নিহত আব্দুল জলিল (৬০) এর লাশ রাতে চুরির চেষ্টা করা হয়ে ছিলো এমন গল্প কাহিনি এলাকাবাসীর মূখে মূখে। এ ঘটনার এর পর থেকেই জোরদার করা হয়েছে পাহারা। কবে শেষ হবে এ পাহারা এমন প্রশ্নের জবাবে এলাকাবাসী জানায়, বজ্রপাতে নিহতের লাশ চুরি হতে পারে এমন আশংকা থেকেই একজন ছাড়া বাকী চার জনের দাফন কবরস্থানে না দিয়ে কবর দেয়া হয়েছে বাড়ির উঠানে।
উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর বিকালে হঠাৎ বজ্রপাত নিহত হয় সাদুল্লাপুর উপজেলার ইদিলপুর ও ধাপেরহাট ইউনিয়নের কৃষক সহ ইট ভাটার চার শ্রমিক তার মধ্যে দুইজন ছিলো ছাত্র।
কেএস