পলাশে গরু চুরির হিড়িক

তারেক পাঠান, পলাশ (নরসিংদী) প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২২, ০৫:০৫ পিএম

নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় গরু চুরির হিড়িক পরেছে। দিন যত যাচ্ছে এই উপজেলায় গরু চুরির সংখ্যা তত বাড়ছে।  

প্রশাসনের নিরবতায় চোর চক্রকের সিন্ডিকেট  বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠছে। মাত্র কয়েক দিন ব্যাবধানে গরু চুরির উপদ্রবে অতিষ্ট হয়ে পরেছে এলাকাবাসী।

গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের দক্ষিণ দেওড়া পূর্বপাড়া গ্রামের গরিব কৃষক আব্দুল মোতালিবের ছেলে মন্নান মোল্লার গোয়াল ঘর থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা মূলের একটি  গাভী গরু চুরি হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে একই গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন এর গোয়াল ঘর থেকে লাল রংয়ের আরও একটি গরু চুরি হয়েছে। গেল শুক্রবারের আগের শুক্রবার  একই গ্রামের করম আলীর ছেলে দিনমজুর আবুল কাশেম গোয়াল ঘরের তালা ভেঙে আশি হাজার টাকা মূলের  আরও একটি লাল রংঙের গাভী গরু চুরি হয়েছে। শুধু তাই নয় দিন যত যাচ্ছে এই উপজেলায় গরু চুরির সংখ্যা তত বাড়ছে। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার বা চুরিকৃত গরু উদ্ধার করতে পারেনি। আর তাই এলাকাবাসীর মাঝে চরম ভয় ও আতষ্ক বিরাজ করছে।

কৃষক আবুল কাশেম জানান, আমার বাড়ির গোয়াল ঘরের তালা ভেঙে আমাদের পরিবারের এক মাত্র সম্বল আশি হাজার টাকা মূল্যের একটি গাভী গরু চুরি হয়েছে। বিষয়টি তাৎক্ষণিক ইউপি সদস্যসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিকে জানানো হয়েছে।

একই গ্রামের কৃষক দেলোয়ার হোসেন জানান, অনেক যত্ন করে গরু পালন করে আসছিলাম। প্রতি দিন রাতে গরু গোয়াল ঘরে বেধে রাখি সকালে বাহির করি। কিন্তু চুরি হওয়ার দিন রাতে গোয়াল ঘরে গরু বেধে রেখেছিলাম। সকালে উঠে গোয়াল ঘরে গিয়ে দেখি আমার গোয়াল ঘর শূন্য। কোন গরু নেই।

একই গ্রামের মন্নানের ভাই আরজু বলেন, শনিবার পুটিয়া হাট থেকে আমার ভাই পালন করা জন্য গরুটি কিনে ছিলেন। সকালে উঠে গোয়াল ঘরে গিয়ে দেখে কোন গরু নেই। বিষয়টি তাৎক্ষণিক এলাকার সর্বস্তরের লোকজন ও ইউপি সদস্যকে জানানো হয়।

এলাকার সাধারণ মানুষ বলছে, পলাশ ও শিবপুর  উপজেলার সিমান্ত বর্তি এলাকার  বাড়ি গুলোতে ব্যপক হারে  গরু চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। চোরের উপদ্রবে অতিষ্ট হয়ে পড়েছি আমরা। অনেক অপরাধ মূলক কর্মকান্ড পুলিশ প্রশাসন কঠোরভাবে নিলে ও গরু চোরদের ব্যপারে তেমন আমলে না নেওয়ায় দিনদিন তাদের উৎপাত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদি পুলিশ প্রশাসন সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে এই বিষয়ে একটু বেশি নজরদারী দেয় তাহলে অসহায়-গরিব মানুষেরা অনেক উপকৃত হবেন।

এ বিষয়ে পলাশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইলিয়াসকে একাধিক বার সরকারি নাম্বারে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

কেএস