ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নের দক্ষিণ কালামৃধা গ্ৰামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নবীন মাতুব্বর (১৪) নামের এক কিশোরকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে জায়গা জমি পরিমাপের সময় শালিশ বৈঠকের চলাকালীন সময় ফারুক মাতুব্বরের সন্তান নবীন মাতুব্বরকে (১৫) দেশীয় অস্ত্র দ্বারা কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষ।
এদিকে, কিশোর নবীন হত্যার প্রতিবাদে বিকেলে উত্তেজিত গ্রামবাসী বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ভাঙচুর চালাতে চেষ্টা করে। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, ফারুক মাতুব্বর ও মান্নান মাতুব্বর গং দের সাথে জায়গা জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব ছিল। বিষয়টি নিয়ে কালামৃধা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লিঠু মাতুব্বর উভয়কে মীমাংসার প্রস্তাব দিলে শনিবারে (৫ নভেম্বর) সকালে শালিশ বৈঠক শুরু হয়। দুপুর গড়িয়ে সালিশ বৈঠক শেষ না হওয়ায় পরবর্তী শনিবার সালিশ বৈঠকের দিন ধার্য করা হয়। সালিশ বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন কালামৃধা ইউনিয়নের সাবেক অপর চেয়ারম্যান নুরুল হক মাতুব্বর। সালীশ বৈঠকের শেষ পর্যায়ে উভয় গ্রুপের লোকজন সালিশ বৈঠক নিয়ে বাক বিতণ্ডায় জড়ায়। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নিলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ফারুক মাতব্বরের ছেলে নবীর মাতুবরবকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। স্থানীয় জনতা নবীন মাতুব্বরকে উদ্ধার করে প্রথমে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে বিকালে নবীনের মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ফারুক মাতুব্বর ও মান্নান মাতুব্বরের সাথে জায়গা জমি সংক্রান্ত একটি সালিশ বৈঠক ছিল সকালে। সালিশ বৈঠকের ফাঁকে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এ সময় কিশোর নবীন মাতুব্বর দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে বিকালের দিকে সে মারা যায়। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নিহতের পরিবার থানায় মামলা দেওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
কেএস