এক যুগ আগে মৃত বিএনপি নেতার খোঁজে বাড়িতে পুলিশ

এন কে বি নয়ন, ফরিদপুর প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২২, ০১:২৪ এএম

ফরিদপুর পৌর সদরের মৃত সাবেক এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করতে রাতের অন্ধকারে বাড়িতে পুলিশ হাজির হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মৃত ওই বিএনপি নেতার নাম বাচ্চু মিয়া। 

তিনি প্রায় ১২ বছর আগে মারা গেছেন। বাচ্চু মিয়া জীবিত অবস্থায় শহরের পশ্চিম খাবাসপুর মহল্লার সাবেক বাসিন্দা, পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও শহর বিএনপির সাবেক সভাপতি ছিলেন।

বুধবার(৯ নভেম্বর) সকালে বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী মৌসুমী আলী কোতোয়ালি থানায় গিয়ে ১২ বছর আগে মৃত স্বামীর মৃত্যুসনদ জমা দেন।

এর আগে মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দিনগত রাত সোয়া ১১টার দিকে মৃত বাচ্চু মিয়ার বাড়ি শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার মিয়াপাড়া সড়কের ১১৩ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও পরিবার সুত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২৮ আগস্ট বাচ্চু মিয়া মারা যান। তাকে স্থানীয় মিয়াপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রেখে যান। বর্তমানে তাদের পরিবারের কেউ কোন রাজনৈতিক দল বা কোন কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত না। মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে আরাফাত আলী মাহির(১৬) একাদশ শ্রেণির ছাত্র। মেয়ে আন্তরা মালিয়া(২৫) স্থানীয় একটি কান্ডাগার্টেন স্কুলের শিক্ষক।

বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী মৌসুমী আলী অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার দিনগত রাত সোয়া ১১টার দিকে স্থানীয় থানার দুই পুলিশ সদস্য বাড়ির সামনে এসে দরজায় ধাক্কা দেন এবং দড়জা খুলতে বলেন।

তারা বলেন, আমরা ঢাকা থেকে এসেছি। দরজা খুলুন, বাচ্চু মিয়া ডাকেন। তখন তাদের জানানো হয় তিনি বেচে নেই। আরো প্রায় ১২ বছর আগে তিনি মারা গেছেন।

তখন পুলিশ সদস্যরা হুমকি-ধমকি দিয়ে বলেন, দরজা কীভাবে খুলতে হয় তা আমরা জানি। রাতে দরজা খোলা যাবে না বলে তাদের জানানো হয়। এরপর বুধবার সকালে আমি থানায় গিয়ে ১২ বছর আগে মৃত আমার স্বামী বাচ্চু মিয়া মৃত্যুসনদ জমা দিয়ে এসেছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বুধবার রাতে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, পুলিশ ওয়ারেন্টের আসামি ধরতে ওই বাড়িতে গিয়েছিল। বাচ্চু মিয়া নয়, তার ছেলের নামে ওয়ারেন্ট ছিল। তবে আদালত থেকে পাওয়া একটি  ওয়ারেন্টের সুত্র ধরে ওই বাড়িতে পুলিশ যায়। তবে অনেক সময় তথ্যগত ত্রুটি থাকতে পারে। তারপরও ওয়ারেন্টটি নতুন করে যাচাই করে দেখা হচ্ছে।