সাভারের আশুলিয়ায় ইট লুটের সময় অন্যের জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে ভাংচুর, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও লুটপাটের ঘটনায় দায়ের করার মামলার এজাহারভুক্ত আসামী আব্দুল জলিলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় ইট লুটের জন্য আনা একটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।
শুক্রবার ভোররাতে আশুলিয়ার আউকপাড়া বটতলা এলাকার জুয়েল রানার প্লটের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত ৯ নভেম্বর আব্দুল জলিলসহ কয়েকজনকে আসামী করে আশুলিয়া থানায় একটি নিয়মিত মামলা (নম্বর-২৮) দায়ের করেন ভুক্তভোগী জুয়েল রানা।
থানা পুলিশ জানায়, আউকপাড়া এলাকায় জমি কিনে বাড়ির কাজ শুরু করেন জুয়েল রানা। আব্দুল জলিল ও তার সহযোগীরা সেই জমিতে থাকা স্থাপনা ভাংচুর ও জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা চালায়। পরে ভুক্তভোগী জুয়েল রানা বাদী হয়ে গত ৯ তারিখে একটি মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলার ৪ নাম্বার আসামী আব্দুল জলিল শনিবার ভোররাতে জোরপূর্বক বাদীর জমিতে কাজ করার জন্য রাখা ইট গাড়িতে ভর্তি করে নিয়ে আসার সময় স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
আশুলিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার আজাদ হারুন অর রশিদ উজ্জল বলেন, আশুলিয়ার রাজু মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী রাজু আহমেদের ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুল জলিল শুক্রবার ভোররাতে আউকপাড়া বটতলা এলাকার জুয়েল রানার জমিতে কাজের জন্য রাখা ইট ট্রাক ভরে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা তাকে আটক করে। পরে বিষয়টি আমাকে জানালে আমি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের পরামর্শ দিয়েছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রতিবেশী বলেন, আব্দুল জলিল বিএনপি জামায়াতের একজন সক্রিয় কর্মী। তার বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ সদর থানায় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগসহ নাশকতার মামলার অভিযোগ একাধিক মামলা রয়েছে। বর্তমানে সেসব মামলা থেকে বাঁচতে আশুলিয়ায় এসে গাঁ ঢাকা দিয়েছিলো। কিন্তু সে অপরাধ প্রবন হওয়ায় এখানেও ধীরে ধীর অপরাধ জগতের সাথে জড়িয়ে পড়ে।
আশুলিয়ার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরহাদ বিন করিম বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল জলিলকে দুপুরে আশুলিয়া থানার নিয়মিত মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত ৯ নভেম্বর আশুলিয়ার আউকপাড়া এলাকার জুয়েল রানা বাদী হয়ে অন্যের জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে ভাংচুর, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও লুটপাটের ঘটনায় মামলাটি (নং-২৮) দায়ের করেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে এক শ্রমিক নেতাকে অপহরণ করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা হয়েছিলো বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এআই