বিশ্ব নারী জাগরণের প্রতীক শেখ হাসিনা: কৃষিবিদ হুমায়ুন

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২২, ০৩:১৬ পিএম

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী, কিশোরগঞ্জ জেলা আ.লীগের সদস্য কৃষিবিদ মসিউর রহমান হুমায়ুন বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র, উন্নয়ন-অগ্রগতির প্রতীক এবং বিশ্ব প্রেক্ষাপটে নারী জাগরণ, নারী অগ্রগতির প্রতীক। দেশের সকল ক্ষেত্রেই যে উন্নয়ন-অগ্রগতি সেটা সম্ভব হয়েছে জননেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যার জাদুকরী নেতৃত্বের কারণেই।’

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) একান্ত আলাপচারীতায় তিনি এ কথা বলেন।

কৃষিবিদ হুমায়ুন বলেন, ‘১৯৮১ সালে ১৭ মে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দেশে পদার্পণ করেছিলেন। সেদিন অঝোর ধারায় বৃষ্টি হচ্ছিল।সেদিন প্রকৃতি যেন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বঙ্গবন্ধুর এই রক্তে ভেজা মাটিতে পেয়ে বৃষ্টির অঝোর ধারায় আনন্দে শ্লোগান দিচ্ছিল। আর মেঘের প্রচন্ড গর্জন যেন বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের প্রতি তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছিল। সেদিন বক্তৃতায় তিনি বলেছিলেন- আমাকে যদি মৃত্যুর মুখোমুখিও দাঁড়াতে হয় এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের জন্য আমি পিছপা হব না। সেই থেকে ৪১ বছরের পথ চলায় জননেত্রী শেখ হাসিনা সমস্ত প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের পাশে থেকেছেন, আছেন।’

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে একে একে ১৯ বার হত্যা করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে, কিন্তু বারবার মৃত্যু উপত্যকা থেকে ফিরে এসে তিনি বিচলিত হননি, দ্বিধান্বিত হননি, থমকে দাঁড়াননি, বরং আরও দ্বীপ্তপদভারে, আরও প্রত্যয় নিয়ে তিনি এদেশের মানুষের সংগ্রামের কাফেলাকে নিয়ে এগিয়েছেন। এদেশের গণতন্ত্র ফিরে এসেছে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই। নব্বইয়ের যে আন্দোলনের মাধ্যমে এরশাদ সরকারের পতন ঘটে, সেই আন্দোলনের নেতৃত্বও দিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।

কৃষিবিদ হুমায়ুন বলেন, ‘আজকে আমরা মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়ার বদলে যাওয়ার গল্প শুনি। জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি অব্যাহতভাবে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে থাকেন, জনগণ যদি সেই সুযোগ দেয়, আর পাঁচ-সাত বছর পর পৃথিবীর মানুষ বাংলাদেশের বদলে যাওয়ার গল্প শুনবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মাঝে আরও বহু বছর থাকুন, এই দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে যান, তার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাস্তবায়ন হোক এটিই আমাদের প্রত্যাশা।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী প্রজন্মের কাছে উন্নত দেশ উপহার দিতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তার এই হাতকে শক্তিশালী করতে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

কেএস