আশুলিয়ায় নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা অন্য কলেজে মাইগ্রেশনের দাবিতে অধ্যক্ষ রুহল কুদ্দুস রুমিকে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে রেখেছে।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে আশুলিয়ার নরশিংহপুরে অবস্থিত মেডিকেল কলেজের প্রশাসনিক ভবনের আটকে রাখে শিক্ষার্থীরা। পরে তারা বাইরে এসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে থাকে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ইমরান খান ইমন বলেন, মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের মিথ্যা আশ্বাস ও আদালতের কিছু কাগজপত্র দেখিয়ে ভর্তি করায়, প্রথম বর্ষে বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন এনে দিবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়, কিন্তু তারা এখনো রেজিস্ট্রেশন এনে দিতে পারেনি। কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থা সংক্রান্ত সব সুযোগ-সুবিধা থেকেও তাদের বঞ্চিত করেছে। এই মেডিকেল কলেজে থেকে স্বাস্থ্যশিক্ষা–সম্পর্কিত পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন আদৌ সম্ভব নয়। শিক্ষার্থীদের অন্যত্র মাইগ্রেশনের ব্যবস্থা করার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করেছিলাম। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কলেজ কর্তৃপক্ষও একটি রিট করে আমাদের মাইগ্রেশন বন্ধ করে দেয়। আমরা দ্রুত পদক্ষেপ চাই। যেন আমাদের শিক্ষাজীবনে আলো ফিরে আসে। তাই আজ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা পিন্সিপাল স্যারকে অবরুদ্ধ করে রেখেছি। আমাদের কোনো ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত অবরুদ্ধ থাকবে।
ভুক্তভোগী আরেক শিক্ষার্থী আরিফুর ইসলাম বলেন, জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দেখে এই মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে আসি। তখন কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়, কলেজের অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যার কারণে ২০১৬ সালের তাদের পূর্ববর্তী শিক্ষার্থীরা মাইগ্রেশন করে অন্যত্র চলে গেছেন। ২০১৭ সালে আমাদের প্রথম ব্যাচ ধরে কলেজের সব কার্যক্রম নতুনভাবে শুরু করবে। ক্লাস শুরুর পর প্রথম বর্ষ কোনো সমস্যা ছাড়া কাটলেও দ্বিতীয় বর্ষে জানতে পারি, এই কলেজের বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন নেই, এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশনও তখনো ছিল না। অন্যথায় ৪৫জন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যতের পাশাপাশি ৪৫টি পরিবারের ভবিষ্যৎও অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে।
আরেক শিক্ষার্থী জাকারিয়া শুভ বলেন, আমরা আজ সকালে আসি পিন্সিপালের সাথে কথা বলতে। কিন্তু পিন্সিপাল আমাদের সাথে কথা বলেনা। তিনি সব কিছু নিয়ে এমডির সাথে কথা বলতে বলে। কিন্তু এমডি হুমায়ুন জামান চৌধুরীর সাথে কথা বললে তিনি আসাদের শিক্ষার্থী হিসেবে অস্বীকার করে। আর আমারা তাকে আসতে বললে তিনি আসতে চায় না। এমডি না আশা পর্যন্ত আমরা পিন্সিপালকে অবরুদ্ধ করে রাখবো।
মেডিকেল কলেজটির অবরুদ্ধ অধ্যক্ষ্ রুহুল কুদ্দুস রুমি বলেন, আমি ৫ দিন হলো পিন্সিপালের দ্বায়িত্ব পেয়েছি। আগে এখানে প্যাথলোজির দ্বায়িত্বে ছিলাম৷ রিটের একটি বিষয়ে সব কিছু আটকে আছে। আমাদের এমডি স্যার এ বিষয়ে কথা বলবেন। শিক্ষার্থীরা তার সাথে কথা বলেছেন তারাই ভালো জানে। তিনি আসবেন কি না জানি না।
এদিকে মেডিকেল কলেজটির বাইরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি রয়েছে৷
কেএস