একদিন আগেই লোকারণ্য সিলেটের সমাবেশস্থল

সিলেট ব্যুরো প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২২, ০৮:৫৩ পিএম

সিলেটে বিভাগীয় গণসমাবেশের একদিন আগেই সমবেত হয়েছেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। শুক্রবার দুপুরের পর থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন।

সন্ধ্যার পরই লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠে আলিয়া মাদ্রাসা ময়দান। আগামীকাল শনিবার এ মাঠে বিএনপির গণসমাবেশ হবে। এ সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া বিএপির কেন্দ্রীয় নেতারা থাকবেন।

বিএনপি নেতা-কর্মীরা বলছেন, বিভিন্ন স্থানে সমাবেশের আগে যান চলাচল বন্ধ করার ঘটনায় আগে থেকেই তারা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন। তারা সমাবেশের দুইদিন আগে থেকেই সিলেটে আসতে থাকেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমবেত হচ্ছেন দুর দরান্ত থেকে আসা নেতাকর্মীরা। তারা জড়ো হয়ে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি সহ নানা স্লোগান দিচ্ছেন।

এদিকে, বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সিলেট বিভাগের চার জেলায় সব ধরনের পরিবহন ধর্মঘট চলছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

সিলেট সিটির মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সমাবেশ বাধাগ্রস্থ করতে সরকার সব চেষ্টাই করছে। শ্রমিক নেতাদের চাপ দিয়ে সমাবেশের দিন পরিবহণ ধর্মঘট ডাকানো হয়েছে। এই সমাবেশের মাধ্যমে আবারো প্রমাণ করবে সিলেট বিএনপির শক্তিশালী ঘাঁটি।

মোটরসাইকেল ও নৌপথে আসছে নেতা-কর্মীরা পরিবহন ধর্মঘট ঘোষণা করায় সমাবেশের দুইদিন আগেই সুনামগঞ্জের তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, মধ্যনগর, ধর্মপাশা ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার হাওর এলাকা থেকে শতাধিক ইঞ্জিন নৌকায় চড়ে সিলেটের সমাবেশে আসার উদ্দেশে বিএনপির হাজারো নেতা-কর্মী নৌপথে রওনা দিয়েছেন।

শুক্রবার ও শনিবার বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন বিভাগজুড়ে পরিবহন ধর্মঘট ডাক দিয়েছে। তাই বিকল্প হিসেবে নদীপথে শতাধিক ইঞ্জিন নৌকা দিয়ে রওনা দিয়েছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। এছাড়া সমাবেশে যোগ দিতে সুনামগঞ্জের কয়েকহাজার নেতা- কর্মী আট হাজার মোটরসাইকেল বহর নিয়ে সিলেটে উদ্দেশ্য গত বৃহস্পতিবার রওনা হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে, সমাবেশকে কেন্দ্র করে সিলেট বিভাগের চার জেলায় সব ধরনের পরিবহন ধর্মঘট চলছে। আগামীকাল শনিবার সন্ধ্যা ছয়টায় এ ধর্মঘট শেষ হবে। জেলা বাস মালিক সমিতি ও পরিবহন শ্রমিক সংগঠনগুলো বিভিন্ন দাবিতে পৃথকভাবে এ ধর্মঘট পালন করছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

যদিও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিলেটের সব কটি পাথর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলনের অনুমতি প্রদানসহ চার দফা দাবিতেই তাদের এ পরিবহণ ধর্মঘট।

এআই