গোসাইরহাটে ভুয়া চিকিৎসককে জেল ও জরিমানা

গোসাইরহাট (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২২, ০৪:৫৮ পিএম

শরীয়তপুরের গোসাইরহাট বাজারে ভুয়া চিকিৎসক ও ভুয়া ওষুধ বিক্রেতাকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুজন দাস গুপ্ত।

সোমবার (২১ নভেম্বর) বেলা ১২টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ইকবাল হোসেন বাচ্চু ছৈয়ালের তথ্যসূত্রে এম এম আয়ুর্বেদিক কোম্পানির ভুয়া ওষুধ বিক্রেতা মো. আল আমিনকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তার তথ্যের ভিত্তিতে আব্দুর রহিম শেখসহ (৪২) ৪ জনকে আটক করা হয়।

এম এম আয়ুর্বেদ কোম্পানির লাইসেন্স থাকলেও আল আমিনের বিক্রয় করা ওষুধ গুলোতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের লাইসেন্স নেই এবং আব্দুর রহিম শেখ ১০০ টাকার তিনটি স্টাস্পে নোটারি পাবলিক করে নিজেকে দন্ত চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিয়ে গ্রামের সাধারণ মানুষের দাঁতের চিকিৎসা করে প্রতারণা করে আসছিল।

অবৈধ ভুয়া ওষুধ বিক্রির দায়ে আল আমিনকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৫৪ ধারায় ১ মাসের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরো ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আব্দুর রহিম শেখকে ৩ মাসের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরো ১ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও তাদের সহযোগী পাবনা জেলার ড্রাইভার মো. মহরম আলী, রাজবাড়ি সদরের ঢোলবাদক রাকিব রহমান ও ফরিদপুরের মধুখালি উপজেলার গায়ক মো. করিম শেখ অবৈধ কাজে সহযোগিতা না করার শর্তে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

১ মাসের কারাদণ্ড প্রাপ্ত জামালপুর সদরের বাঘের হাটের মো. আকরামের ছেলে আল আমিন ও ৩ মাসের কারাদণ্ড প্রাপ্ত আব্দুর রহিম শেখ ফরিদপুর জেলার মধুখালি উপজেলার কয়েস দিয়া গ্রামের মৃত মইন উদ্দিনের ছেলে।

গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মাইদুল ইসলাম সম্রাট বলেন, যে ঔষধ গুলো জব্দ করা হয়েছে সেগুলো মানুষের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। নিবন্ধিত এমবিবিএস ডাক্তারের অনুমতি ব্যতিত কোনো ওষুধই ব্যবহার করা উচিত নয়।

উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুজন দাস গুপ্ত বলেন, আমরা ইকবাল হোসেন বাচ্চু ছৈয়ালের তথ্যসূত্রে ভুয়া চিকিৎসক ও ভুয়া ওষুধ বিক্রেতাকে আটক করি এবং তাদেরকে বিভিন্ন ধারায় জরিমানা ও কারাদণ্ড প্রদান করি। এরপর অভিযানের অবৈধ ওষুধ গুলো ধ্বংস করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা চক্রের বিরুদ্ধে আমাদের এই অভিযান অভ্যাহত থাকবে।

এসএম