কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির কারখানা গুঁড়িয়ে দিলো প্রশাসন

পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২২, ০৫:১৬ পিএম

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা অবৈধভাবে কাঠের গুড়ি পুড়িয়ে কয়লা তৈরির একটি কারখানায় অভিযান চালায় প্রশাসন। এসময় ফায়ার সার্ভিস একটি দল কারখানার ৭ চুল্লির আগুন পানি দিয়ে নিভে দেয়। পরে ওইসব চুল্লি এস্কেভেটর দিয়ে সম্পূণ গুড়িয়ে দেওয়া হয়।

সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নে বাসুদেবপুর (নুরিয়াপাড়া) গ্রামে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগের উপপরিচালক হাসন-ই-মোবারক এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন। এসময় তার সাথে ছিলেন পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান নয়ন ছাড়াও থানা পুলিশের একটি টিম।

জানা যায়, অবৈধভাবে চলমান ওই কারখানা চুল্লি থেকে নির্গত ধোঁয়ায় নষ্ট হচ্ছে এলাকার ফসলি জমি। অন্যদিকে শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছিল সাধারণ মানুষ। স্থানীয় নজরুল ইসলাম এবং মিজানুর রহমান নামে দুই ব্যক্তি জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই জনবসতিপর্ণ এলাকায় কারখানা স্থাপন করেন। যা পরিবেশ দূর্ষণের পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ। প্রতিটি চুল্লিতে প্রতি রাউন্ডে ২শ’ থেকে ৩শ’ মন কাঠ পোড়ানো হয়। ৮ থেকে ১০ দিন পোড়ানোর পর চুল্লি থেকে কয়লা বের করা হয়। চুল্লি থেকে নির্গত ধোঁয়ায় আশপাশ আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এতে একদিকে এলাকায় শ্বাসজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অন্যদিকে উঠতি ফসলের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান নয়ন এ অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,  অবৈধভাবে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরীতে পরিবেশ দূষণ হচ্ছিল। তাই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

কেএস