গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের নিখোঁজের দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার হয়নি ব্যবসায়ী জ্যোতিশ চন্দ্র সরকার। তাকে হত্যা, অপহরণ কিংবা গুম করা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে পুলিশ কিছু না বললেও ক্লু পাওয়া গেছে বলে জানায়। উদ্ধারে তৎপরতা অব্যাহত আছে।
গত রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাদুল্লাপুর উপজেলা শহরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি আসার পথে নিখোঁজ হন জ্যোতিশ চন্দ্র সরকার।
রাতভর মোবাইল ফোনে ও সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করে পায়নি তার স্বজনরা।
সোমবার (২১ নভেম্বর) সকালে বাড়ির নিকটবর্তী তরফবাজিত এলাকার ভাই-ভাই রাইচ মিলের পাশের পুকুর পাড়ে তার ব্যবহ্নত মোটরসাইকেল ও পায়ের সেন্ডেল দেখতে পায় স্থানীয়রা।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা এসে পুকুরসহ আশপাশের ধান ক্ষেতে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পায়নি। এ খবর জানাজানি হলে পুকুর পাড়সহ রাইচ মিল এলাকায় ভীড় জমান শতশত নারী-পুরুষ।
নিখোঁজ জ্যোতিশ চন্দ্র সরকার (৫৫) সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের তরফবাজিত গ্রামের মৃত্যু গংগাধর সরকারের ছেলে। তিনি নারিশ পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারি লিমিটিডের একজন ডিলার ও সাদুল্লাপুর বাজারস্থ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স সংলগ্ন তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
আর জ্যোতিশ চন্দ্রের হঠাৎ মোবাইল ফোন বন্ধ ও বাড়ি না ফেরার ঘটনায় পরিবারের সদস্যরা এখন চরম আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন। কান্নায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে জ্যোতিশ চন্দ্রের স্ত্রী ও সন্তানরা।
তারা বলছেন, ব্যবসায়ীক কিংবা পারিবারিক কারো সঙ্গে তার কোন বিরোধ নেই। তবে তাকে অপহরণ কিংবা গুম করা হয়েছে ধারণা তাদের। দ্রুত তাকে উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কাছে সহযোগিতা কামনা করেন।
এদিকে, হঠাৎ করে ব্যবসায়ী নিখোঁজের ঘটনাটিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা। কেউ তাকে অপহরণ কিংবা ঘুম করেছেন কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মো. এনায়েত হোসেন বলেন, পুকুর পাড়ে রেখে যাওয়া তার ব্যবহ্নত মোটরসাইকেল ও স্যান্ডেলসহ ঘটনাস্থলের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। আমরা অনেকগুলো ক্লু পেয়েছি সে গুলো নিয়ে কাজ করছি।
কেএস