সন্তানের স্বীকৃতি চাওয়ায় স্ত্রীর হাত ভেঙে দিলেন স্বামী

পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২২, ০৭:১৭ পিএম

সন্তানের স্বীকৃতি চাওয়ায় কক্সবাজারের পেকুয়ায় জান্নাত আরা নামের এক গৃহবধূর হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর ছেলে সেকান্দর আলী বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় এজাহার দায়ের করলেও পুলিশ মামলা নিচ্ছে না বলে দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার গোঁয়াখালী এলাকায় নিজ বাড়িতে ভুক্তভোগী পরিবার সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জান্নাত আরা।

তিনি জানান, ১৯৯৯ সালে একই এলাকার মৃত জাফর আলমের ছেলে তারেকুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয় তার। পরের বছরেই তাদের সংসারে সেকান্দর আলী নামের এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। জন্মের পর থেকে সন্তানকে স্বীকৃতি দিতে অপারগতা জানিয়ে আসছে তারেক। তখন থেকে আলাদা জীবন শুরু করেন তারা।

লিখিত বক্তব্যে জান্নাত আরা আরও বলেন, চলতি বছরে ভোটার হালনাগাদের সময় ছেলে সেকান্দর আলীর জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির আবেদন করা হয়। এতে বাধা দেন তারেকুল ইসলাম। এর জের ধরে নিয়মিত আমাকে ও আমার ছেলেকে প্রাণে হত্যার হুমকি দেয় সে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২ নভেম্বর দুপুরে তারেকের নেতৃত্বে ৩/৪জনের সংঘবদ্ধ একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার উপর হামলা করে। সেসময় আমার স্বামী তারেক লোহার রড দিয়ে আমার ডান হাতে আঘাত করে। এতে আমার হাতের হাড় ভেঙে যায়।

এদিকে ১৭ নভেম্বর এ ঘটনায় জান্নাত আরার ছেলে সেকান্দর আলী বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় এজাহার দায়ের করলেও মামলা রুজু করেনি পুলিশ। বাদী সেকান্দর আলী বলেন, আমার পিতৃপরিচয়কে কেন্দ্র করে পিটিয়ে মায়ের হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় এজাহার দেওয়া হলেও অদৃশ্য কারণে মামলা নিচ্ছে না পুলিশ।

এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত তারেকুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর হায়দার সাংবাদিকদের জানায়, ছেলের পিতৃপরিচয় নিয়ে এক মহিলাকে হামলার খবর শুনেছি। ঘটনাটি আমরা এখনো তদন্ত করছি। সত্যতা পাওয়া গেলে মামলা রুজু করা হবে।

কেএস