অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত মহামায়া লেক

আশরাফ উদ্দিন, মিরসরাই প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২২, ১১:৫৪ এএম

অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত চট্টগ্রামের আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র মাহামায়া লেক। খাবার পানিয় সমস্যা, মানসম্মত শৌচাগারের অভাব, পর্যাপ্ত পার্কিং সমস্যা, অতিরিক্ত পার্কিং চার্জ, নেই পর্যটকদের কোন বিশ্রামগার, মাত্রাতিরিক্ত বোট ভাড়া, নারী পর্যটকদের নেই আলাদা শৌচাগার, বিশ্রামাগার ও প্রার্থনা কক্ষ। এসব সমস্যার কারণে পর্যটকরা তাদের কাক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

মিরসরাই মহামায়া লেকের ইজারাদার শাহজাহান এন্টারপ্রাইজের প্রোফাইটর সাবেক মেয়র শাহজাহান জানান, বনবিভাগের উদাসিনতার কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে।

সরজমিনে দেখা যায়, লেকের প্রবেশ পথের বাম পাশেই মহামায়া কেন্টিন। কিন্তু সেটি দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ রয়েছে। তার বাম পাশে পাহাড়ের উপরে ৬ কক্ষের একটি ভবন রক্ষণাবেক্ষণের অভবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। লেকের বাঁধ পেরিয়ে উত্তর পূর্বে প্রায় ৭শ ফুট উপরে উঠলেই আরেকটি ভবন সেটিও দেখা যায় পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এছাড়া এ পথে পর্যটকদের বসার জন্য ৪টি ছাতা ও বেশ কয়েটি টুল নির্মান করা আছে। কিন্তু এসব স্থাপনা কখন চুনকাম হয়েছে তার কোন চিহ্ন নেই।

মূলত এখানে পর্যাপ্ত স্থাপনা থাকলেও পরিচর্যা ও মেরামতের অভাবে পর্যটকদের ব্যবহার অনুপযোগি হয়ে পড়েছে।

আগত একাধিক স্থানিয় পর্যটক ক্ষোভের সাথে অভিযোগ করে বলেন, পার্কিং থেকে শুরু করে প্রবেশ পথ ও লেকে ঘুরতে প্রতি কদম গলাকাটা টাকা আদায় করে ইজারাদাররা। কিন্তু পর্যটকদের সুবিধার জন্য কোন ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের করেরহাট ও নারায়ণহাট রেঞ্জের দায়িত্বে থাকা সহকারী বন সংরক্ষক জামিল মুহাম্মদ খান বলেন, পুরাতন স্থাপনা গুলির প্রজেক্ট মেয়াদ শেষ হওয়ায় সেগুলি এখন আর মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে জানতে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক শাহ এর দুটি ফোন নাম্বারে যোগাকরার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাস জানান, মহামায়ার সকল কর্মকাণ্ডের দায়িত্বে রয়েছেন মোহাম্মেল হক শাহ। তার কাছেই সকল তথ্য পাবেন।

কেএস